রামগঞ্জে শিশু নুশরাতের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শিশু নুশরাতের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়। ছয়দিন পার হয়ে গেলেও নুশরাতের হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তার বাবা এরশাদ মিয়া করুণ আর্তনাদ করে উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রশাসনের কাছে মেয়ের হত্যাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার দাবি করেন। আজ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্তরের লোকজন ও নোয়াগাঁও বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয় ও নোয়াগাঁও ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার উদ্যেগে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্কুল শিক্ষক সহিদুল ইসলামের সঞ্চালনা মানববন্ধন কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন নোয়াগাঁও ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বাহার ভিপি, রামগঞ্জ ব্লাড ডোনার’স ক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিক খালেদ মাহমুদ ফারুক, নোয়াগাঁও জনকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীর, নোয়াগাঁও বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামাল হোসেন, ইউপি সদস্য মাসুদ আলম, জাকির হোসেন পাটওয়ারী, নুরে আলম সিদ্দিকী, হাজী শেখ আবুল বাশার, মুনছুর আহম্মেদ ভূইয়া, কাজী মজিবুল হক, মাওলানা আরিফ উল্যাহ জিন্নাহ, বিল্লাল হোসেন ও ইব্রাহীম খলিল প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, ২৩মার্চ শুক্রবার দুপুরে রামগঞ্জ উপজেলার ২নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও কালু মিস্তুরি বাড়ির প্রবাসী এরশাদ হোসেনের মেয়ে ও পশ্চিম নোয়াগাঁও ফয়েজে রাসুল নুরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত (৮) নিখোঁজের তিনদিন পর ২৬ মার্চ সোমবার সকালে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া ঠাকুরবাড়ির সামনের ব্রীজের নিছ থেকে শিশু নুশরাতের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় তার গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থা দেখতে পায় স্থানীয়রা।
শিশু নুশরাতের লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় সোমবার রাতে নিহতের মা রেহানা বেগম রামগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে অধ্যাবদি ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. তোতা মিয়া জানান, এ ঘটনায় এখনো কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।