নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজে ধীরগতি
নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের চার প্যাকেজের মধ্যে দুই প্যাকেজের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চললেও বাকী দুই প্যাকেজের কাজ অর্থাৎ চৌমুহনী চৌরাস্তা হতে সোনাইমুড়ী চাষীরহাট প্যাকেজ অংশ এবং অন্যটি লাকসাম হতে লালমাইবাজার গোলচত্বর অংশের কাজের এখনো টেন্ডার কাজই সম্পন্ন হয়নি যার। ফলে এই পথে যাতায়াতকারী বৃহত্তর দুইটি জেলা নোয়াখালী ও কুমিল্লার যাত্রী সাধারণের চরম কষ্ট হচ্ছে যাতায়াতে তার কারন কাজ শুরু না হওয়া রাস্তার অংশে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে যেটা আসছে বর্ষাকালে আরো খারাপের দিকে যাবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চৌমুহনী চৌরাস্তা হতে পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে দুই প্যাকেজের কাজ দ্রুতই এগিয়ে চলছে আর বাকি দুই প্যাকেজ অর্থাৎ চৌমুহনী চৌরাস্তা হতে সোনাইমুড়ী চাষীরহাট অংশ এবং দক্ষিণ লাকসাম হতে লালমাই বাজার গোলচত্বর অংশ ফেলে রেখেছে। এই দুই অংশে কোন কাজই হচ্ছেনা, এটা চরম গাফিলতি মনে করছে স্থানীয় মানুষজন। এই সড়কটি সরকারের একটি অগ্রাধিকার প্রকল্প, প্রতিদিন শত শত যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে কিন্তু সড়কের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যেন যাঁরা এই সড়কের দায়িত্বে আছেন তাঁদের কোন মাথাব্যথাই নেই !
নোয়াখালী-কুমিল্লা মহাসড়ক এর চার পার্ট এর মধ্যে দুই পার্ট এর কাজ টেন্ডার আহবানই হয়নি এখনো অথচ একনেকে প্রায় ২১৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি পাশ হয়েছে আরো বছর দেড়েক আগে। এমতাবস্থায় প্রকল্পের বাকী দুই প্যাকেজের আর্থাৎ দক্ষিণে নোয়াখালীর দিকের অংশের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরুকরণ জরুরি বলে এ রুটের যাত্রী সাধারণসহ সর্বস্তরের মানুষজন মনে করছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী কুমিল্লা জোন প্রধান মনির হোসেন পাঠান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ঐ অংশে স্থানীয়দের একটা মামলা আছে, যার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা।
Comments are closed.