নোয়াখালী জেলা জজকোর্টের নাজিরের স্ত্রী-বোনসহ ৩ জন কারাগারে
নিজের দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে অর্থ পাচার, সরকারি অর্থ আত্মসাত ও অবৈধ সম্পদ উপার্জনসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় নোয়াখালী জেলা জজকোর্টের নাজির মোহাম্মদ আলমগীরের স্ত্রী, বোনসহ ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের জেলা কার্যালয় নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. সুবেল আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলা জজকোর্টের নাজির আলমগীর নিজের দাপ্তরিক পরিচয় গোপন করে নিজেকে রড, সিমেন্ট ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে মেসার্স ঐশী ট্রেডার্স একটি ভুয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক শাখায় ১০টি হিসাব খুলেন। এসব হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা অবৈধভাবে লেনদেন করেন। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভুত ৭ কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করায় দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহম্মেদ বাদী হয়ে গত ৫ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মো. আলমগীর, তার স্ত্রী চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পেশকার নাজমুন নাহার (সাময়িক বরখাস্ত), তার বন্ধু ফেনীর দাগনভূঁইয়া উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের মৃত বেনু লাল ভৌমিকের ছেলে বিজন ভৌমিক ও একই এলাকার মো. আবু নাসেরের স্ত্রী ও আলমগীরের বোন আফরোজা আক্তারকে আসামি করা হয়। এদের মধ্যে আলমগীরকে গত ৫ আগস্ট মাইজদী শহর থেকে দুদক গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। বাকি ৩ আসামি গত ১৬ আগস্ট উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বৃহস্পতিবার আলমগীরের স্ত্রী, বোন ও বন্ধু নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদের আদালতের হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত তাদের ৩ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদক সমন্বিত জেলা নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহম্মেদ বলেন, আলমগীরের স্ত্রী, বোন ও বন্ধু উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে আত্মসমার্পন করে জামিন চাইলে আদালত তা না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান।
Comments are closed.