ডা. রাজনের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক রাজন কর্মকারের (৩৯) মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে নোয়াখালীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সামনের সড়কে সম্মিলিত চিকিৎসক সমাজ ও নোয়াখালী ডেন্টাল সার্জন ফোরামের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারটা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে চিকিৎসকেরা ছাড়াও রাজনের মা খুকু রানী কর্মকার, ছোট ভাই রাজিব কর্মকারসহ পরিবারের সদস্যরা এবং আত্মীয়–স্বজন ও রাজনের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার গ্রামের বাসিন্দারা অংশ নেন।
এ সময় রাজনের মা খুকু রানী কর্মকার বলেন, ‘আমি একজন সামান্য স্কুলশিক্ষক হয়ে অনেক কষ্ট করে ছেলেকে যোগ্য সন্তান হিসেবে গড়ে তুলেছিলাম দেশের কল্যাণে। তার প্রতিদানে আমি অকালে ছেলের লাশ পেলাম। আমি ছেলের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত চাই।’
খুকু রানী আরও বলেন, তাঁর বেয়াই (খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার) ফোন করে বলেছেন, ছেলের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে যেন গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা না বলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, ‘তিনি একজন মা হিসেবে নিশ্চয়ই আমার মনের ব্যাথা বুঝবেন।’
মানববন্ধন ও সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু নাছের, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ডেন্টাল সার্জন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম ও প্রবীণ ডেন্টাল সার্জন বি এল নাগ প্রমুখ। বক্তারা বলেন, চিকিৎসক রাজনের মৃত্যুর জন্য সরাসরি কাউকে দায়ী করা হচ্ছে না। কিন্তু মেধাবী এই চিকিৎসকের অকালমৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত খুবই জরুরি, যাতে অন্য কোনো চিকিৎসককে এভাবে অকালে মৃত্যুবরণ করতে না হয়।
বিএসএমএমইউর ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজনকে গত রোববার ভোরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার। রাজনের মা, ভাই ও তাঁর সহকর্মী চিকিৎসকেরা অভিযোগ তোলেন, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল রাজনের চিকিৎসক স্ত্রী কৃষ্ণার দিকে। কৃষ্ণার বাবা নওগাঁর সাংসদ ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদার। তবে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে রাজনের শরীরে দাগ পাওয়া যায়নি। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা–ও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
Comments are closed.