সুন্দরী তরুণীদের ফাঁদে ফেলতেন এমএলএম কোম্পানি টিনসি বাংলাদেশের শিমুল
নোয়াখালীর এমএলএম কোম্পানি টিনসি বাংলাদেশের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ফেরদৌসি বেগম নামে এক তরুণী। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাতে সুধারাম মডেল থানায় লিখিত আনেন তিনি।
ওই কর্মকর্তার নাম কামরুল হাসান শিমুল। নিজের সুন্দর চেহারার ফাঁদে ফেলে তরুণীদের শুধু টাকা-পয়সাই নয়, তাদের সর্বনাশ করেও ছাড়তেন এমএলএম কোম্পানির সেভেন স্টার এই কর্মকর্তা।
ওই তরুণী অভিযোগে জানান, কামরুল হাসান শিমুলসহ একাধিক প্রতারক জেলা শহরের মাইজদী বাজার এলাকার নাপিতের পোল মনোয়ারা প্লাজার তিন তলায় এমএলএম কোম্পানি টিনসি বাংলাদেশের আঞ্চলিক অফিস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে তরুণ যুবক-যুবতীদের মোটা মুনাফার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে টাকা লোপাট করে আসছেন।
ভুক্তভোগী নিজেও শিমুলসহ ওই অফিসের কর্মকর্তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে মোটা অংকের মূলধন বিনিয়োগ করে তাদের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। একই অফিসে কাজের সুবাধে শিমুল আপ্লুত হয়ে ভালোবাসার কথা বলে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর বিয়ের প্রলোভনে তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক মিলনে বাধ্য করেন। এরপর গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে অফিসের লোকজনের সামনে সে শিমুলকে বিয়ে করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে শিমুল তাকে প্রকাশ্যে মারধর শুরু করেন ও গলা টিপে ধরেন। এ সময় অফিসের লোকজন তাকে শিমুলের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন।
ওই তরুণী জানান, ওই ঘটনায় তিনি সুধারাম থানায় মামলা করলে শিমুল এবং তার ভাড়াটে লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগটি ওসি (তদন্ত) আবদুল বাতেনকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সুধারমা মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন।
Comments are closed.