লক্ষ্মীপুরে ১৩ বছরের কিশোরী ৫ মাসের গর্ভবতী, আসামী বিপ্লব কারাগারে

কিশোর প্রেমে অবৈধ দৈহিক মেলামেশার কারনে গরীব পরিবারের তেরো বছরের এক কিশোরী এখন পাঁচ মাসের গভর্বতী হয়ে চরম বিপাকে। অন্তস্বত্বা তেরো বছরের এ কিশোরীর পেটের সন্তানের পিতার নাম মো: বিপ্লব কাজী (১৮) বলে সে জানায়। বিপ্লব তাদের পাশের বসত ঘর সংলগ্ন প্রতিবেশী প্রবাসী আ: রহিম ও বিউটি আক্তার দম্পতির পুত্র। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগন্জ থানার দিঘলী ইউনিয়নের পূর্বদিঘলী কাজী বাড়ীর।

আদালত ও ভক্তভুগি সুত্রে জানা যায়, ঘটনার কিশোর বিপ্লব কাজী ও গর্ভবতী দরিদ্র পরিবারের কিশোরী কন্যা’র ঘর পাশাপাশি এবং তাদের উভয় পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারের মাঝে সম্পর্ক ভালো থাকাতে কিশোর বিপ্লবের মা কিশোরীকে নিজেদের ঘরে মাঝে-মাঝে এনে তার সাথে রাত্রি যাপন করাতেন। এ সুযোগে কিশোর বিপ্লব বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চায়। এতে গরীব ঘরের কিশোরী আমরা গরীব বলে কিশোর বিপ্লবের প্রস্তাবে আপত্তি জানায়। পরিপেক্ষিতে কিশোর বিপ্লব কিশোরীকে আরো প্রলোভন দেখায় যে তোমার পেটে বাচ্চা এলে আমার বাবা-মা পরে মেনে নিবে। প্রেম-ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে প্রেমিক বিপ্লবের কথা সরল মনে বিশ্বাস করে ১৯ সপ্তাহের সন্তান গর্ভে নিয়ে ষষ্ট শ্রেনির ছাত্রী ঐ কিশোরী এখন বাকরুদ্ধ।
মামলা সুত্রে আরো জানা গেছে, পুরো ব্যাপারটি কিশোর বিপ্লবের পরিবার অস্বীকার করে বসে। এতে করে অত্যান্ত দরিদ্র দিনমজুর পিতা-মাতা ১৩ বছরের গর্ভবতী কিশোরী কন্যারকে নিয়ে চরম বিপাকে পরে। এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সমাজপতিদের কাছে বিচার দিলে সবাই মেডিকেল টেস্ট করে থানায় মামলা করতে বলে। পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ১৭/২/২০২০ তারিখে আল্ট্রাসোনোগ্রাম করে দেখা যায় কিশোরীটি ১৭ সপ্তাহের পর্ভবতী।  এরপরে নিরুপায় হয়ে গত ২ মার্চ চন্দগন্জ থানায় গর্ভবতী কিশোরীর পিতা চারজনকে আসামী করে মামলা করে। যাহার দ: বি: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংষোধিত ২০০৩) এর ৯(১)৩০। পরে পুলিশ আসামী বিপ্লবকে  গ্রেপতার করে।
৩ মার্চ লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চন্দগন্জ আদালতের বিচারকের নিকট আসামি বিপ্লব নিজের অপরাধ স্বেচ্ছায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিদির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। আদালত পরে অভিযুক্ত আসামি বিপ্লবকে কারাগারে প্রেরণ করার আদেশ প্রদান করেন।