লক্ষ্মীপুরের খোয়াসাগর পাড়ে রেলিং না থাকায় শিশু দুর্ঘটনার আশঙ্কা
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারে অবস্থিত খোয়াসাগর দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নতুন পযর্টন স্পটে উন্নয়নের কাজ চলছে। প্রাচীন এ দিঘির উত্তর-পশ্চিম পাড়ে ইতিমধ্যে বিভিন্নরকম উন্নয়নমূলক কাজ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিম পাড়ের বেশিরভাগ অংশে রড-বালু-সিমেন্ট দ্বারা চোখে পড়ার মত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। কিন্তু কোথায়ও দেয়া হয়নি প্রটেকশন রেলিং। যার জন্য স্কুলগামী শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে খেলাধুলা করার সময়ে বৃহৎ এ দিঘির পাড়ে রেলিং না থাকার কারণে পানিতে পড়ে যেতে পারে। এতে করে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণহানী হওয়ার ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন স্হানীয় বাসিন্দারা। এ কারণে এলাকাবাসী ও শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের বিদ্যালয়গামী শিশু শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন।
বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন বিদ্যালয় যাওয়া-আসা করে এমন কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক এ প্রতিবেদকের নিকট এগুলো তুলে ধরেন। দিঘির পশ্চিম পারের বাসিন্দা হোসেন মিয়া জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে ৭/৮ বছরের একটি শিশু খেলা করতে করতে পানিতে পড়ে গেলে তিনি সাথে সাথে দেখে ফেলায় শিশুটির জীবন রক্ষা পায়। এ দীঘি পাড়ের স্হানীয় লোকজন আরো বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ হওয়া অংশে সাঁতার না জানা শিশুরা যেন দিঘির পানিতে না পরে সেজন্য অবিলম্বে নিরাপত্তা রেলিং তৈরি করা জরুরিভাবে দরকার।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে আছে, এ ব্যাপারে আমি সদর ইউএনকে যথাযথ ব্যবস্হা নেয়ার জন্য বলে দিবো।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৫০ বছর পূর্বে তৎকালীন জমিদার গৌর কিশোর রায়ের সময়ে ঐতিহাসিক এ খোয়া সাগর দিঘী খনন করা হয় বলে স্থানীয়রা জানান। আরো জানা গেছে ২০১৫ সনে এই খোয়া সাগর দিঘী সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক টিপু সুলতান। কিন্তু স্হানীয় কতিপয় ব্যক্তি উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করলে সে উদ্যােগটি ভেস্তে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে এ সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৯ আগস্ট তাদের করা রিট আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাচীন এ খোয়া সাগর দীঘির সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধণের কাজ শুরু হয়।
Comments are closed.