চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগে শতাধিক নেতা-কর্মী অনুপ্রবেশকারী
২২ নভেম্বরের আগে ব্যবস্থা চান সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক মহল
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটিতে বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা স্থান করে নিতে না পারে সেজন্য তাদের তালিকা করেছে দলটি। এই তালিকা কেন্দ্র থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে দেয়া হচ্ছে। জাতীয় বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমন্ডলির সভা শেষে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিতর্কিত কোনো ব্যক্তি যাতে বিভিন্ন পর্যায়ের সম্মেলনে কমিটিতে স্থান করে নিতে না পারে, সেজন্য আমরা সতর্ক রয়েছি। নেতা-কর্মীদের সেভাবে দিকনির্দেশনা দেয়া আছে।
আর এমন সংবাদে চাটখিলের অনেক নেতা-কর্মীর যায় যায় অবস্থা। চাটখিল তথা নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের গুরুত্ব বহন করে চাটখিল উপজেলার নেতা-কর্মীদের রাজনীতি। কারণ, চাটখিল উপজেলাতে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ এইচ এম ইব্রাহিম ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি। দুই নেতাকে কেন্দ্র করে চাটখিল উপজেলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের জন্ম হয়েছে। দু্টি গ্রুপের যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজের দলকে ভারি করে দলের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের দেখানোর জন্য যে যেভাবে পেরেছে কর্মী বন্ধব করেছে দলকে। কিন্তু আসল কথা হলো, এই চাটখিল উপজেলাতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিক নৌকার চাইতে বিএনপির ধানের শীষের লোকজন বেশি। আওয়ামী লীগের চাটখিল উপজেলা নিয়ে বিশেষভাবে খবর নিয়ে দেখা যায়, দুগ্রুপের বিশাল একটা অংশ অন্যদলে থেকে আসা। অনেকে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত শুধুমাত্র দলকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করছে। এদিকে আওয়ামী লীগ দলীয় অনেক নেতাকে বিভিন্ন সময়ে জাসদের রাজনীতির সাথে দেখা গেলেও এখন আওয়ামী লীগে এসে গোঁফ তেল লাগিয়ে বসে আছে কখন আসবে সুযোগ নেতার মাথায় কাঠাল ভাঙ্গার। এছাড়া আওয়ামী লীগে নেতারা বেশির ভাগই বিদেশ ফেরত, মামলার আসামী, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করা। এরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কখনো করে নাই, সামনেও করবে বলে মনে হয় না। আগামী ২২ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে সামনে রেখে দলকে গুচিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন এটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্ট রাজনীতিক মহলের।
দলে অনুপ্রবেশকারীদের সম্পর্কে আলোকিত চাটখিল পত্রিকা থেকে জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জাহাঙ্গীর কবির জানান, আমাদের বর্তমান কমিটিতে কোন অনুপ্রবেশকারী নেই। তবে মিছিল-মিটিংয়ে কিছু অনুপ্রবেশকারী ভেড়াতে চেষ্টা করে। যারা আগামীতে কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হতে চাচ্ছে। আগামী দু’তিন মাসের মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন কমিটিগুলো হতে যাচ্ছে তবে কোনভাবেই আমরা কমিটিতে অনুপ্রবেশকারীদের স্থান দিব না।
Comments are closed.