রামগেঞ্জ বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ : ভূমি মালিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
লক্ষ্মীপুরের রামগেঞ্জ বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপ-কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এনার্জি প্যাক বাংলাদেশ লি. এর অধিগ্রহণকৃত প্রকৃত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকগণ। আজ বুধবার দুপুরে রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর কলচমা গ্রামে নির্মাণাধীন বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপ-কেন্দ্রের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি পেশ করেন স্থানীয় ভূমি মালিকগণ।
জানা যায়, ২০১৩-২০১৪ ইং সনে বিদ্যুতের ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপ-কেন্দ্র স্থাপনের জন্য পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (এনার্জি প্যাক বাংলাদেশ লি.) ৫.০৩ একর জমি অধিগ্রহণ করে। প্রায় একশ কোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ১৩২/৩৩ কেভি গ্রীড উপ-কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এসময় জমিদাতাদের সাথে ভিটি ৬০, জমি ৩৩ ও পুকুরের জমি ৯৮ হাজার টাকা প্রতি শতাংশ করে অধিগ্রহণ করা হয় এবং বেশ কিছু জমির মালিককে অর্ধেক টাকা পরিশোধও করা হয়।
কিন্তুু নির্মাণাধীন বিদ্যুতের পাওয়ার গ্রীডের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কয়েকমাস বাকি থাকতে সে মুহুর্তে একই এলাকার লুৎফর রহমান প্রকাশ এল রহমান, মানিক হোসেন, সিরাজ মিয়া ও জহির ব্যপারী লক্ষ্মীপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে তাদের মালিকানা দাবি করে একটি মামলা দায়ের করে। উল্লেখিত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় জমির প্রকৃত মালিক ফারুক হোসেন, আমির হোসেন, মোস্তফা মিয়া, মফিজ ব্যাপারী, মো. হোসেন, বজলুল হক, কাশেম ব্যাপারী ও আক্কাছ ব্যাপারীসহ অনেকের বাকী টাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আটকে রাখার ঘোষণা দেয়। এতে করে স্থানীয় ভূমির মালিকগণ বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কয়েকদফা বসলেও কোন কূলকিনারা হয়নি।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বক্তারা জানান, জমি অধিগ্রহণ করায় আমরা পথে বসেছি। কিছু টাকা দেয়া হয়েছে, বাকি টাকা আমাদের দিতে গড়িমসি করছে কর্তৃপক্ষ। অথছ যারা সম্পত্তির মালিক নয় তারা মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।
এ ব্যপারে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ এর ইঞ্জিনিয়ার সুমন আহম্মেদ জানান, আমরা জমি অধিগ্রহণের টাকা লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসককে দিয়ে দিয়েছি। হঠাৎ মামলাটি করায় জমির মালিকদের বাকি পাওনা টাকা দেয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। শুনেছি মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টাকা দেয়া হবে না। এ ব্যপারে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর মেয়র অবগত আছেন।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ জানান, আমরা সমাধানে কয়েকবার বসেছি। উভয়পক্ষের সই স্বাক্ষর রেখে সমাধানে আসার চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে বসে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।
Comments are closed.