প্রাণের শহর নোয়াখালী

102

নোয়াখালীর মত বাংলাদেশে আর এমন কোনো জেলা খুঁজে পাওয়া যাবেনা, যে জেলার আয়তন প্রাকৃতিক ভাবে বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে নোয়াখালীর উপকূলে প্রতি বছর সাগর থেকে জেগে উঠছে বিপুল পরিমান ভূমি। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে নোয়াখালীর আয়তন। সুপরিকল্পিত ভাবে এ ভূমিকে ঘিরে কোনো সুদুর প্রসারী উদ্যোগ কেউ কখনো নেয়নি। প্রাকৃতিক আর রাজনৈতিক নানান টালমাটালে এ জেলা নানান ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে আছে। বর্তমানে নোয়াখালীর উপজেলার সংখ্যা নয়টি।

এ উপজেলা গুলোর কেন্দ্র বিন্দু নোয়াখালী শহর। তবে এ শহরের ভিন্ন এক যন্ত্রনাদায়ক ইতিহাস আছে। নতুন অনেকে নোয়াখালী শহরে এসে থমকে পড়েন। এখানে নোয়াখালী নামের কিছুই নেই। এ শহরটির নাম মাইজদী শহর। মাইজদী কোর্ট। সরকারি ভাবে বলা হয় নোয়াখালী সদর। কোনো হৈচৈ নেই। সন্ত্রাস বা বড় ধরনের কোনো ক্রাইমও নেই। গ্রাম আর শহরের মিশেল এক ছোট্ট ছিমছাম সোম্য শান্ত শহর। পুরো জেলায় কোনো রুক্ষতা নেই। সমস্ত জেলা জুড়ে শুধুই সবুজের স্নিগ্ধতা। নারিকেল সুপারি আর নানান বৃক্ষের ছায়া ঘেরা জেলা।

পঞ্চাশের দশকে মূল নোয়াখালী মেঘনা আর সাগরে বিলিন হয়ে গেলে বৃটিশদের পরিকলপনায় নতুন করে এ শহরের পত্তন হয়। নোয়াখালী শহর যখন ভেঙ্গে যাচ্ছিলো তখন মাইজদী মৌজায় ধান ক্ষেত আর খোলা প্রান্তরে পুরাতন শহরের ভাঙ্গা অফিস আদালত গুলো এখানে এনে স্থাপন করা হয়। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ষোলো একর জুড়ে কাটা হয় এক বিশাল দীঘি। লোক মুখে প্রচলিত হয় বড় দীঘি নামে। সে দীঘির চতুর্দিকে চক্রাকারে বানানো হয় ইট সুরকীর রাস্তা। সে রাস্তাকে ঘিরে বাংলো প্যাটার্ণে তৈরী হয় সরকারী সব দপ্তর। রাস্তার পাশে রোপিত হয়েছিলো বকুল আর জারুল গাছ। কিছুদিন পরে গাছগুলো বড় হলে ফুলে ফুলে পুষ্পিত হয়ে অপরুপ সাজে সজ্জিত হয়ে উঠে। এক অপরুপ রুপে শহর সাজতে থাকে। আশে পাশে নদী ভাঙ্গা বসতিদের বাড়ি ঘর উঠতে থাকে। এক রুচিশীল হারানো শহরের মানুষ গুলো রুচিশীলতা দিয়েই নতুন করে তৈরী করলো সেই সব। একটু একটু করে গড়তে থাকে শহর।

গ্রামাঞ্চলের বড়িঘর গুলোও ছিলো সুঠাম ছিম ছাম। দেশের নানান যায়গা থেকে মানুষ জন দেখতে আসতো এ শহরটির রুপ। একটা অলিখিত পর্যটন শহর হিসাবে গড়ে উঠছিলো এটি। কিন্তু এ শহর বাসীর দুর্ভাগ্য সেই সৌন্দর্য সেই সৌষ্ঠব ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকলো। শহর স্থানান্তরের সময় নতুন শহরকে সাজিয়ে তুলতে মাইজদীতে অনেক যায়গা হুকুম দখল করা হয়েছিলো। যেগুলো সরকারের খাস জমি হিসাবে রক্ষিত আছে।

বড়দীঘি থেকে পানি উত্তোলন করে সারা শহরে পরিবেশন করা হতো। পানির কোনো দুষণ ছিলোনা। স্বচ্ছ পানিতে ভরে থাকতো বড় দীঘি। পরবর্তীতে সে দীঘির কোল ঘেঁসে কিছু ভবন তৈরী হয়। মল মূত্র আর ময়লা আবর্জনায় এখন প্রায় ভরে থাকে এ সুন্দর জলাশয়টি। অবশ্য মাঝে মাঝে কিছু উদ্দ্যোগযে নেয়া হয়নি তা নয়। বিভিন্ন সময় পৌর কতৃপক্ষ এর সৌন্দর্য বর্ধনে কিছুটা উদ্যোগী হয়েছিলো। দীঘির এক পাড়ে মাটি ভরাট করে গাছ লাগিয়ে কিছুটা পার্কের আদল করার চেষ্টা হয়েছে। দীঘির চতুর্পাশে সে পার্ককে ঘিরে লোহার রেলিং দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু সে পর্যন্তই সার। স্থানে স্থানে কে বা কারা সে রেলিংগুলো খুলে নিয়ে গেছে। তবে এখন যে টুকু অবশিষ্ট আছে তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারলে শহরবাসি হয়তো কিছুটা স্বস্তি পেতো।

কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য অনেকের কাছে এ শহর বেশ সমাদৃত। সে বৈশিষ্টের মধ্যে অন্যতম হলো এ শহর একেবারেই সন্ত্রাস মুক্ত একটি শহর। এ শহরে সন্ত্রাস নেই বল্লেই চলে। দ্বিতীয় এর বৈশিষ্ট হলো এর স্বচ্ছ পরিবেশ । যেহেতু এ জেলায় বড় কোনো মিল কারখানা নেই তাই এর বড় কোনো পরিবেশ দুষণও নেই। সবচেয়ে বড় দিক হলো কোলাহল মুক্ত একটি শহর হিসাবে এখনো এর সুনাম চতুর্দিকে। অনেকে এখানে এসে বাড়িঘর তৈরী করে স্থায়ী ভাবে বসবাস করতে চান। এ জেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ সারা পৃথিবীতে ছড়িযে ছিটিয়ে আছে। তাদের টাকা রেমিটেন্স বেশীর ভাগ জমি কেনার কাজে ব্যাবহার করা হয়। এসব কারনেই দিন দিন এখানের যায়গা জমির দাম বেড়ে যাচ্ছে।।

প্রবাসীদের পাঠানো টাকা সঠিক কাজে ব্যাবহার করে এ জেলাকে আরো সমৃদ্ধ করা যেতে পারে। একটি পর্যটন জেলা হিসাবে গড়ে উঠার সব রকম সুযোগ সুবিধাই এ জেলায় বিদ্যমান। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিটি উপজেলার সাথে জেলা শহরের যোগাযোগ অনেক উন্নত। জেলা শহরের কাছাকাছিই রয়েছে কয়টি দর্শণীয় স্থান। এর মধ্যে আছে গান্ধীআশ্রম, বজরা শাহী মসজিদ, সোনাপুর গীর্জা, হরিণারাযন পুর জমিদার বাড়ি, রামভাইয়ের আশ্রম ইত্যাদি। আরো আছে নোয়াখালীর দক্ষিণে বিশাল খোলা প্রান্তর, বন বিভাগের সৃজিত বন। আছে হাতিয়া দ্বীপের দক্ষিনে সমুদ্র থেকে জেগে উঠা নিঝুম দ্বীপ। সবচেযে বড় বিষয় হলো এ জেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ।

একটি সবুজ ক্যানভাসের দৃশ্য অবলোকন করতে মানুষ হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দেয়। প্রকৃতি প্রেমিকরা একটু দৃষ্টি মেলে ঘুরে দেখলেই এখানে এসে দেখতে পাবেন বাংলার এক অপরূপ রূপের জনপদ।

আরও পড়ুন

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান (রুবেল ভূঁইয়া) উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন এবং মাঠ সম্প্রসারণের কাজ সম্পর্কে অবগত করেন এবং মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন-এইচ এম ইব্রাহিম

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া বলেন,ঐতিহ্যবাহী চাটখিল কামিল মাদ্রাসা একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Comments are closed.