পরশুরামে দীর্ঘদিন ধরে অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি

55

ফেনীর বিলোনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ওই স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে অসামান্য বীরত্ব প্রদর্শন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এতে শহীদ হন ৩৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন অসংখ্য যোদ্ধা। তাঁদের সেই বীরত্বকে স্মরণ রাখতে পরশুরাম-ছাগলনাইয়া সড়কের পাশে পরশুরাম পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে নির্মিত হয় বিলোনিয়া যুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্ন অবহেলায় স্মৃতিস্তম্ভটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমর বিলোনিয়ায় স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণের জন্য গণপূর্ত বিভাগ ২০০৯ সালে ৫০ লাখ ৩৯ হাজার টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে। ২০১০ সালে বিলোনিয়াতে স্বতিস্তম্ভটি নির্মাণ করার লক্ষে দরপত্র আহবান করেএবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া অমি এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে।

পরে মুক্তিযোদ্বা নুরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা স্থান পরিবর্তনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়সহ জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত ভাবে আবেদন করলে পরে পরশুরাম পৌর এলাকার সলিয়া গ্রামে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণের জন্য পুণরায় স্থান নির্ধারণ করা হয়।

২০১১ সালে পুনরায় নির্মাণ কাজ পায় ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স একরামুল হক এন্টারপ্রাইজ। গণপূর্ত বিভাগের তদারকিতে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ কাজ শেষ হয় ওই বছরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে স্মৃতিস্তম্ভটি দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে লতা ও ঝোঁপ-জঙ্গলে ভরে গেছে । বখাটে, মাদক ও নেশাখোরদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্বের শহীদদের স্মরণে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভটি।

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভটির বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। সাবেক উপজেলা মৃক্তিযোদ্বা কমান্ডার হুমায়ুন শাহরিয়ার বলেন, বিলোনিয়া স্মৃতিস্তম্ভটি রক্ষণাবেক্ষণ জরুরী হয়ে পড়েছে। হুমায়ুন শাহরিয়ার আরো বলেন, ‘বিলোনিয়ার সম্মুখযুদ্ধের কলাকৌশল বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে শেখানো হয়। গৌরবময় এ স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত স্তম্ভটি আমাদের জন্য একটি স্বৃতি বিজড়িত। তবে এটি অব্যবস্থাপনায় নষ্ট হওয়া ও নেশাখোরদের আড্ডায় পরিণত হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমানের।’

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি, স্মৃতিস্তম্বটি যথাযথ সংরক্ষণ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হোক। কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিবার মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস আসলে একটু পরিস্কার পরিছন্ন করা হয়। তার পর আবারও আগের অবস্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।তারা জানান স্মৃতিস্তম্ভ থেকে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযোদ্বের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা নেয়ার কথা অথচ সেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভটি এখন নেশাখোরের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.