পদ্মা-মেঘনায় থেমে নেই জাটকা নিধন, এক মাসে জব্দ ৭ টন

74

জাটকাইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার ওপর চলছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। জাটকা রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাহারা দিচ্ছে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স সদস্যরা। কিন্তু তাতেও জাটকা নিধন পুরোপুরি বন্ধ রাখা যাচ্ছে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর নৌ সীমানার বিভিন্ন স্থানে চলছে জাটকা শিকার। দিনের আলোয় সুযোগ কম থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই জাটকা নিধনে নদীতে নেমে পড়ে অসংখ্য জেলে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে গত এক মাসে অন্তত ৮৯ জন জেলেকে আটকের পর জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল ও প্রায় ৭ মেট্রিক টন জাটকা।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন চাঁদপুরের জেলা মৎস্য অফিসার আসাদুল বাকী। তিনি বলেন, ‘জেলেরা আসলে চুরি-চামারি করে জাটকা শিকার করছে। নদীতে অভিযানে গেলেই ১০ জন থেকে ২৫ জন জেলে পর্যন্ত আটক করা হচ্ছে। এভাবেই চলছে। এরপরও মাছ শিকার থেমে নেই। আমরাও নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরছি, জেল-জরিমানা করছি। এসব উপেক্ষা করেই তারা জাটকা নিধন করছে।’
জাটকা শিকার বন্ধে অভিযান

জানা গেছে, চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ষাটনল, একলাসপুর, আমিরাবাদ, চাঁদপুর সদর উপজেলার সফরমালী, আনন্দবাজার, রনাগোয়াল, টিলাবাড়ি, রাজরাজেশ্বর, বহরিয়া, হরিণা, আখনেরহাট, কাটাখালী, তেলিরমোড়, চরভৈরবী এলাকায় কিছু অসাধু জেলে জাটকা নিধন চলছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার পুরাণবাজার এলাকার জেলে আব্দুর রহিম বলেন, ‘মোহনপুর, এখলাসপুর, গজারিয়া এলাকার জেলেরা এসে আমাদের এলাকায় জাটকা শিকার করে। সেই সঙ্গে আমাদের এখানকার কিছু জেলেও মাছ শিকার করে। জাটকা ধরা বন্ধ না করতে পারলে অভিযান দেওয়ার দরকার কি?’
জব্দ করা কারেন্ট জাল

জেলে জহির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানছি। কিন্তু এই সময়ে সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তা হিসেবে জেলেদের মাত্র ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। একটি সংসার শুধু চাল দিয়ে চালানো সম্ভব না। তাই সরকারি সহযোগিতা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’

জেলে জাকির হোসেন বলেন, ‘সরকার দুই মাস নদীতে মাছ ধরতে নিষেধ করেছে। তাই আমরা এখন নদীতে নামছি না। জাল আর নৌকা মেরামত করছি যেন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে মাছ ধরতে কোনও অসুবিধা না হয়।’
নিষিদ্ধ সময়ে মাছ শিকার করায় নদীপাড়ের আড়ৎ পুড়িয়ে দেয় টাস্কফোর্স

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘এ বছর জেলেরা অনেকটা বেপরোয়া। হয়তো নিষেধাজ্ঞাটা লম্বা সময় হওয়ায় এবং নদীতে মাছ বেশি থাকায় জেলেরা লোভ সামলাতে পারছে না। আমরা চেষ্টা করছি। তারপরও আমরা বলবো না শতভাগ সফলতা অর্জন করতে পারছি। এক মাসে আমরা প্রায় ১শ’ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছি। ইতোমধ্যে এ অভিযানে যুক্ত হয়েছে নৌবাহিনী।’

জেলা মৎস্য অফিস জানিয়েছে, গত ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ রবিবার বিকাল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে ৬৩টি। যেখানে মোট অভিযান পরিচালিত হয়েছে ২২৩টি। এসব অভিযানে জব্দ করা হয়েছে ৬ মেট্রিক টন ৯১৯ কেজি জাটকা। ১০ কোটি টাকা ৩৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬৯ লাখ ৬৮২ মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের অভিযানে ৮৯ জেলেকে আটকের পর তাদেরকে সর্বোচ্চ ২ বছর থেকে শুরু করে ১ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। জব্দকৃত জাটকা বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। আর জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
জব্দ করা জাটকা এতিমখানা ও গরিবদের মধ্যে বিতরণ

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব মো. আসাদুল বাকি বলেন, ‘সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যেসব জেলে জাটকা নিধনে মগ্ন হচ্ছে তাদের অভিযানে আটকের মাধ্যমে আপাতত জেল জরিমানা দেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে ১ জনকে ২ বছর, ৮১ জনকে ১ বছর, ৭ জনকে ১ মাস করে জেল দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও অনেকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আমাদের কাছে তাদের ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দ রয়েছে। তবে অসাধু জেলেদের ব্যাপারে আমাদের এখানেই শেষ নয়। আটককৃত জেলেদের তালিকা রেখে আমরা জেলা টাস্কফোর্সের সভায় কঠোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। যাতে এদের দেওয়া জেলে কার্ড বাতিল করা হয়।’
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকার করতে নদীপাড়ে খাল খনন করে জেলেরা

তিনি আরও বলেন, ‘জাটকা নিধন থেকে জেলেদের নিবৃত্ত রাখা কঠিন কাজ। হয়তো একসময় আসবে তারা পুরোপুরি বুঝতে পারবে। যেমন আমাদের হালদা নদীর কথা চিন্তা করেন। সেখানে জেলেরা এখন নিজেরাই পাহারা দেয়। আমরা আশাবাদী হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে আমাদের মেঘনাপাড়ের জেলেরা নিজেরাই নদী পাহারা দেবে। এতটুকু সময় পর্যন্ত আইন প্রয়োগ করতে আমাদের কষ্ট করতে হবে।’
উদ্ধার করা জাটকা

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান বলেন, ‘জেলার প্রায় ৫১ হাজার জেলে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চার মাস চাল পাচ্ছেন। এর পরেও কোনও জেলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চললে তাদের ছাড় দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’

উল্লেখ্য, ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস পদ্মা, মেঘনা অভয়াশ্রমে সব ধরণের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

আরও পড়ুন

বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএম এর নোয়াখালী জেলার সভাপতি ডাঃ এম এ নোমান,চাটখিল কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া।

চাটখিলে ডিয়ার ছোয়াদ এজেন্সির হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান (রুবেল ভূঁইয়া) উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন এবং মাঠ সম্প্রসারণের কাজ সম্পর্কে অবগত করেন এবং মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন-এইচ এম ইব্রাহিম

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া বলেন,ঐতিহ্যবাহী চাটখিল কামিল মাদ্রাসা একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

Comments are closed.