নোয়াখালীর মানুষ ছাড়া, আরো যারা নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে

233

নোয়াখালীর ভাষা বাংলা সংস্ক‍ৃতির একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান। এই ভাষা নিয়ে অনেক সময় অনেককে ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা বলতে দেখা যায়। আবার অনেকে এটিকে ক্ষ্যাত ভাষা বলেও গালি দেয়। যদিও প্রত্যেক অঞ্চলের ভাষারই আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। বাংলাদেশের সব জেলাতেই ভাষার মধ্যে বৈচিত্র্যতা রয়েছে। এক জেলার ভাষা আরেক জেলার লোকদের পছন্দ নাও হতে পারে। নোয়াখালীর মানুষ যে প্রশ্নটার সম্মুখিন বেশী হয়েছে সেটা হলো আমরা “পানি” কে “হানি” বলি কেন? তাদের বুঝা উচিত উপভাষায় এইরকম হাজারো শব্দ থাকে। যেমন সিলেটে গিয়ে কেউ পুরি চাইলে মাইর খেতে পারেন। কারণ সিলেটে পুরি বলতে মহিলা মানুষকে বোঝায়। এখন প্রশ্ন হলো আমাদের ভাষা তার গতিতে চলবে, অন্য জেলার ভাষা তাদের ঐতিহ্য বহন করবে। এখন যারা নোয়াখালীর ভাষাকে ছোট করে দেখেন তাদের জন্য জানিয়ে রাখি বাংলা শুদ্ধ ভাষার বাহিরে এই ভাষায় সবচেয়ে বেশী লোক কথা বলে।

নোয়াখালীর মানুষের বাহিরে আর কারা নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে?

মূলত নোয়াখালীর ভাষাটি হলো বাংলা-আসাম ভাষা। এটিকে নোয়াখাইল্যা ভাষাও বলা হয়ে থাকে। নোয়াখালী ছাড়াও এই ভাষাটি ব্যবহার করে ফেনী ও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লার দক্ষিণ অংশের লোকজন, মিরসরাই, সন্দিপ উপজেলায়, চাঁদপুর জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলার মানুষজন।

এছাড়াও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নাগরিকরাও নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে। নোয়াখালীর ভাষাটি দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ভারতীয়দের মধ্যে মিশ্রিত ভাষা হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং এটি ত্রিপুরার গোমতি এবং সিপাহিজলা জেলায় ব্যাপকভাবে ব্যবহারিত হয়। নোয়াখালীর ভাষাটি আদিবাসি ত্রিপুরা উপজাতি, চাকমা ও মার্মারাও বুঝে থাকে এবং এই ভাষায় কথা বলে থাকে।

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অনেকগুলো শহরের মানুষ নোয়াখালীর ভাষায় কথা বলে। যেমন- বিলোনিয়া, মনুরমুখ, সাবরুম, শান্তিরবাজার (দক্ষিণ ত্রিপুরার একটি শহর), জলাইবাড়ি, দক্ষিণ হারিয়াছরা, বাইখোরা, বারপাথার, ত্রিশনা, কাঁঠালিয়া, গারজি, হৃষ্যমুখ, সাচন্দ, কারবুক, নতুনবাজার, বীরচন্দ্র মানু, রাজননগর ইত্যাদি শহরের লোকজন এই ভাষায় কথা বলে। বিলোনিয়া দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সদর দপ্তর। যার মধ্যে তিনটি উপবিভাগ রয়েছে বেলোনিয়া, শান্তিরবাজার এবং সাব্রুম। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের চন্দ্রপুর জেলার চন্দ্রপুর শহরেও নোয়খাইল্যা ভাষার ব্যবহার রয়েছে।

নোয়াখালী ভাষার নির্দিষ্ট কোন স্বীকৃত ব্যকরন নেই। এটি বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের জনগণের মুখের ভাষা হিসাবে বিদ্যমান। নোয়্খালীর ভাষার কোন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবহার না থাকলেও এই ভাষা বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষের যোগাযোগ আরো বিস্তৃত করেছে। এই ভাষা এই অঞ্চলের সামাজিক-সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করছে। নোয়াখালীর ভাষা বাংলাদেশে খুবই বিখ্যাত। এই ভাষায় অনেক নাটক বানানো হয়েছে। বাংলাদেশে অনেকগুলো উপভাষা প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ টি ভাষায় আমরা বিভিন্ন নাটক বানাতে দেখেছি। উপভাষাগুলোর মধ্যে নোয়াখালীর ভাষায় বেশী নাটক বানানো হয়েছে।বাংলাদেশের উপভাষা গুলোর মধ্যে নোয়াখালীর উপভাষা খুবই বিস্তৃত। যে কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থানকারী নোয়াখালীর লোকজন এই ভাষা ব্যবহার করেন। আর যেহেতু বেশী লোকের মাঝে এই ভাষা ব্যবহারিত হয় সেজন্য এর সমালোচনার লোকও বেশী।

নোয়াখালীর লোকজন সব সময় তাদের ভাষাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। তারা এই ভাষাকে সম্মান করে এবং যে কোন পরিস্থিতিতে ব্যবহার করতে কোনরূপ ইতস্তবোধ করে না।

আরও পড়ুন

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান (রুবেল ভূঁইয়া) উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন এবং মাঠ সম্প্রসারণের কাজ সম্পর্কে অবগত করেন এবং মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন-এইচ এম ইব্রাহিম

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া বলেন,ঐতিহ্যবাহী চাটখিল কামিল মাদ্রাসা একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

Comments are closed.