দেশি ফলের দাম ক্রেতার নাগালে, ক্ষতিগ্রস্ত চাষি

33

ফেনী শহরের মহিপাল পাইকারি ফলের আড়তে বিদেশি ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের দেশীয় মৌসুমি ফলের বিপুল সমাহার ঘটেছে। জেলা পর্যায়ে দেশের সবচেয়ে বড় এ ফলের আড়ত থেকে ফেনীর পার্শ্ববর্তী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফল চলে যায়। আমদানি করা ফলের দাম না বাড়লেও সব প্রকার দেশি ফলের দাম ক্রেতাদের নাগালের থাকায় খুশি সাধারণ মানুষ। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে তরমুজের দামে ভাটা পডায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকার পাইকারি আড়তের ২ শতাধিক দোকানে প্রতিদিন ভোর থেকেই দেশীয় ফলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের পসরা সাজিয়ে বসেন আড়তদাররা। এখান থেকে কিনে ফেনী ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান পাইকাররা।

আমদানি করা ফলের দাম না কমলেও লিচু, কাঁঠাল, আনারসসহ দেশীয় মৌসুমে ফলের দাম কিছুটা কমে কিনতে পেরে বেশ খুশি খুচরা বিক্রেতারা।

কাঁঠাল কেনার বিষয়ে একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, প্রতি ১০০টি কাঁঠাল ৭ হাজার থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বৃষ্টির কারণে চাহিদা কমায় বিপুল পরিমাণ তরমুজ নিয়ে চাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। লোকসান হওয়ার বিষয়ে তারা বলেন, ১০০টি তরমুজ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো। কিন্তু বর্তমানে তা ৫ হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে না। ক্ষেতের তরমুজ ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এদিকে দেশীয় মৌসুমি ফলের উৎপাদনকারী কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পেতে মধ্যস্বত্বভোগীদের এড়িয়ে সরকারি আড়তে আসার পরামর্শ দেন ফেনী মহিপাল ফল ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য মো. হাসান মিয়া। তিনি বলেন, কৃষক যদি সরাসরি এখানে এসে ফল বিক্রি করেন, তাহলে তারা কিছুটা হলেও দাম পাবে।

উল্লেখ্য, ফেনীর এ আড়তে প্রতিদিন ৫ কোটি টাকার বেশি ফল বিক্রি হয়।

 

আরও পড়ুন

Comments are closed.