জায়গার বিরোধে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন: সিআইডি

32

জায়গা জমির বিরোধের কারণে নোয়াখালীর কবিরহাটে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মো. আব্দুল হাই ওরফে মাস্টারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।

গ্রেপ্তার মো. আব্দুল হাই ওরফে মাস্টার নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার নবাবপুর (গফুর মেম্বারের বাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে সুপার মুক্তাধর বলেন, গত ২১ মে নোয়াখালীর কবিরহাট থানার নবাবপুর গ্রামের নুর আলমের ঘরের সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়ে মাইজদি সদরের গুডহিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনাটি বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে সংবাদটি প্রচার হয়।

এই ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। সিআইডির ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরেজমিনে সংগ্রহ করা হয়। পরে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে মো. আব্দুল হাই ওরফে মাস্টারের জড়িত থাকার কথা জানা যায়। এরপর সিআইডির এলআইসির একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) হাজারীবাগ থানার এলাকা থেকে মো. আব্দুল হাই ওরফে মাস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আব্দুল হাইয়ের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, নিহত দেলোয়ার হোসেনরা পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোন। তারা সবাই বিবাহিত। সব ভাই এক বাড়িতে বসবাস করলেও আলাদা ঘরে আলাদা সংসার করেন। তিনি অন্যদের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ জমি বেশি ভোগ করায় তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।

 

গত ২১ মে বিকাল ৫টার দিকে বাড়ির উঠানে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। আলোচনার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি ঘরে থাকা লাঠি বের করে তার বড় ভাই দেলোয়ার হোসেনের মাথায় আঘাত করে। এতে দেলোয়ার গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর তার ডাক-চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন এগিয়ে এলে অবস্থা বেগতিক দেখে আব্দুল হাই দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

পরে আহত দেলোয়ার হোসেনকে নোয়াখালীর মাইজদি সদরের গুডহিল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী সাজেদা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি মামলা করেন।

গ্রেপ্তার মো. আব্দুল হাই ওরফে মাস্টার নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানার নবাবপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

আরও পড়ুন

Comments are closed.