গ্রেফতারের পর থানা হাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
লক্ষ্মীপুর জেলায় চেক প্রতারণার মামলায় আবদুল কুদ্দুস (৪৫) নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ী গ্রেফতারের কিছুক্ষণের মধ্যেই থানা হাজতে মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবদুল কুদ্দুস গ্রেফতার করা হয়। পরে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসক বলছেন, স্ট্রোক করে তিনি মারা গেছেন।
আবদুল কুদ্দুস একজন ছোট ব্যবসায়ী। জেলার মেঘনা রোড এলাকায় তার একটি ওষুধের ফার্মেসি রয়েছে।
তিনি সদর উপজেলার বাংগা খাঁ ইউনিয়নের রাধাপুর গ্রামের আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মেঘনা রোড এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। এতে নির্দেশনা পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে মেঘনা রোড এলাকার ফার্মেসি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের খবর পেয়ে স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় আসেন। তাদের উপস্থিতিতেই কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়েন কুদ্দুস।
এরপর রাত ১০টা ১০ মিনিটে কুদ্দুসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে কুদ্দুসের স্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মারা যান।
নিগার সুলতানা জানান, কুদ্দুস এর আগেও একবার স্ট্রোক করেছেন। তার শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হার্টেও রিং বসানো আছে।
লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, কুদ্দুস স্ট্রোক করেছেন। চিকিৎসাধীন তিনি হাসপাতালে মারা গেছেন।
জেলার সদর মডেল থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ওয়ারী থানায় একটি চেকসংক্রান্ত মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়। হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক আমরা হাসপাতাল ভর্তি করেছি।
Comments are closed.