কর্মস্থলে থাকা ছোট ভাইদের জমি হাতিয়ে নিলেন বড় দুই ভাই
চট্রগ্রাম
চট্রগ্রামে কর্মস্থলে থাকার সুযোগে ছোট ভাইদের খরিদা জমিতে তোলা বসত ভিটে ও ভাই বোনদের বাবার ওয়ারিশি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে বড় দুই ভাই গনি সিকদার ও আমির হোসেন সিকদাররের বিরুদ্ধে।
দুলারহাট থানার নুরাবাদ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। বসত ভিটে হারিয়ে নিঃস্ব দুলাল সিকদারসহ অপর ওয়ারিশরা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সমাজপতিদের দারে দারে ঘুরেও কোন সুরাহ পাননি। জবর দখলকারী দুই ভাই স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় সমাজপতিরা তাদের দারা প্রভাবিত হয়ে সমঝোতার নামে সময় ক্ষেপন করছেন। সমাজপতিদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে জমি জবর দখলকারী দুই ভাইয়ে হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তারা।
দুলাল সিকদার অভিযোগ করেন,নীলমকল মৌজায় ৮০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন বাবা আবদুর রাজ্জাক সিকদার। বাবার মৃত্যু আগে ওই জমি থেকে চার ভাই গনি সিকদার,আমির হোসেন সিকদার, তিনি (দুলাল সিকদার) ও আলাউদ্দিন সিকাদারকে ১৯৭৪ সনে ৬৭৭ নম্বর দলিল মূলে এসএ ১০১৫ নম্বর খতিয়ানে ৩২ শতাংশ জমি দলিল করে দেন। বাবার দেয়া দলিল অনুযায়ী তিনি তার দখলীয় ৮ শতাংশ জমিতে বসত ভিটে ও ঘর নির্মান করে পরিবার নিয়ে ভোগদখলে ছিলেন। গত কয়েক বছর আগে জিবিকার তাগিদে পরিবার ও পরিজন নিয়ে চট্রগ্রামে কর্মস্থলে থাকার সুযোগে বড় ভাই গনি সিকদার ও আমির হোসেন সিকদার তার বাবার দেয়া দলিল সুত্রে মালিকানা বসত ভিটের ৮ শতাংশ জমি ও তার বাবার ওয়ারিশি আবাদি জমি জবর দখল করে নেয়। একই সাথে দুই বোন লাইলি ও পিয়ারা বেগমের বাবার ওয়ারিশ পাওনা জমি জবর দখল করে উচ্ছেদ করে দেন।
তিনি আরোওঅভিযোগ করেন, বাধ্যর্কজনিত কারনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাবার ভিটে বাড়িতে ফিরে এসে জানতে পারেন তার বড় ভাই গনি সিকদার তার বসত ভিটে ও বাবার ওয়ারিশি আবাদি জমি জবর দখল করে নিয়েছেন। তিনি এবং তার অপর বোনরা ভাইয়ের কাছে তার জমি ফেরৎ চাইলে ভাই গানি সিকদার ও তার স্ত্রী সন্তানরা তাকে মারধর ও হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তারিয়ে দেন। তার খরিদা ও বাবার ওয়ারিশি জমি ফিরে পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ সমাজপতিদের কাছে একবছর যাবত ধর্ণা ধরে কোন প্রতিকার পাননি তিনি। সমাজ পতিরা তার প্রতিপক্ষ ভাইদের সাথে আতাঁত করে সমঝোতার নামে সময় ক্ষেপন করে আসছেন। তার ভাইরা স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্র ছায়ায় থেকে জমি ছেড়ে চলে যেতে অব্যহত হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গনি সিকদার জানান, ওই জমি খাস খতিয়ানের ভূক্ত হওয়ায় জমি রক্ষা করতে অনেক মামলার শিকার হতে হয়েছে। এখন জমি তাদের নামে নাই । তাদের জমি খাস খতিয়ানে জমি চলে যাওয়ায় তিনি এবং তার ভাই আমির হোসেন ওই জমি ভোহদখলে আছেন।
শালিশ প্রসঙ্গে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ওই জমি নিয়ে ভাইদের সাথে বিরোধ চলমান রয়েছে। বিষয়টি নিস্পতি করে দেয়া হবে।
দুলারহাট থানার ওসি মোরাদ হোসেন জানান, দুলাল সিকদারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে তার ভাই আমির হোসেন গনি সিকদার ও তার সন্তানদের আসামী করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Comments are closed.