চাটখিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে সিজে মডেল বাস্তবায়নে কমিউনিটির অংশগ্রহণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে চৌগাছা-ঝিনাইদহ (সিজে) মডেল বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে কমিউনিটির অংশগ্রহণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
(১৯ ফেব্রুয়ারী বুধবার) দুপুরে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সভা কক্ষে উক্ত কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খোন্দকার মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ চাটখিল-সোনাইমুড়ী আসনের সাংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।
প্রধান অতিথি তার আলোচনায় গতানুগতিক ধারা পরিবর্তন করে ভিন্ন আঙ্গিকে সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান করে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে উপজেলা পর্যায়ে বাংলাদেশে শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল করার লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা আশ্বাস দেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলার চেয়ারম্যান জনাব জাহাঙ্গীর কবির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ দিদারুল আলম, চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারু ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচ,এম আলী তাহের ইভু, চাটখিল পৌরসভা প্যানেল মেয়ের আহসান হাবীব সমীর, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোজী শাহীন, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ভিপি নিজাম উদ্দিন, সাংবাদিক নেতা মিজানুর রহমান বাবর, নোয়াখালী জেলা স্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রতিনিধি ও UNFPA জেলা প্রতিনিধি, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ জন প্রতিনিধিগন এবং হাসপাতালে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীগন।
উল্লেখ্য, ডাক্তার মো. ইমদাদুল হক ১৯৯৫ সালে দ্বিতীয় বার যশোরের চৌগাছা হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করে হাসপাতালের সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে চিকিৎসাসেবার পরিবর্তন ঘটান। কার্যকর ও সফল এই উদ্যোগের জন্য তিনি উপজেলা পর্যায়ে প্রসূতিসেবায় ১৪ বার পুরস্কৃত হন।
এবং স্বাস্থ্য সেবায় উপজেলা পর্যায়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চসংখ্যক বার সেরা পুরস্কার প্রাপ্ত যশোরের চৌগাছা মডেল হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত মিলেনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল ২০১৫ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও চৌগাছা হাসপাতাল ২০০৯ সালেই তা অর্জন করে। ২০১০ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড.মর্গারেট চেংসহ স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য পরিচালক ও দেশ বরেণ্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এ হাসপাতালের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ হাসপাতালে সার্বক্ষণিক জরুরি রোগী চিকিৎসা, বর্হিবিভাগ ও অন্তঃবিভাগ, প্যাথলজি ও এক্সরে, ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসা, টিকাদান ও প্রসাবকালীন সেবা, অপারেশন, যক্ষা, কুষ্ঠ ও জলাতাঙ্ক রোগ নিয়ন্ত্রণ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, দ্বন্তরোগ, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান, এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের ভাউচার কার্যক্রম, নারী বান্ধব কার্যক্রম, ম্যালেরিয়া, আর্সেনিকোসিস রোগী ও এইডস রোগ নিয়ন্ত্রণসহ ইত্যাদি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
Comments are closed.