লক্ষ্মীপুরে সংসার ব্রিকসে চলছে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব !
সরকারী নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ চরমনসা এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠেছে সংসার বিক্স নামে একটি ইট ভাটা। কোনরকম বৈধ ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধ ভাবে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন সংসার ব্রিক্সের মালিক রুবেল সানী। এর ফলে ভাটার মাধ্যমে যেমন পরিবেশ দুষণ হচ্ছে, তেমনি কৃষি জমি নষ্ট হচ্ছে। এ ইট ভাটায় ড্রাম চিমনি ব্যবহার করে চলছে কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব। এছাড়া ভাটায় কাঠ পোড়ানোর ফলে জ্বালানীর ওপরও প্রভাব পড়ছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সম্প‚র্ণ কৃষিজমি ও ঘনবসতি এলাকায় নির্মিত হয়েছে সংসার ব্রিকস। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ইটভাটা এলাকায় এলে কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের বিষয়ে তারা আপত্তি জানিয়েছেন। তার পরও ইটভাটার মালিক প্রভাব খাটিয়ে, স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে ফসলি জমিতে গড়ে তুলছেন নিজের অবৈধ ইটভাটা। এলাকাবাসীর মতে, ঘনবসতি এলাকায় ইটভাটা চালু হওয়ায় তাদের গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পরিবেশ আইনে উলে¬খ রয়েছে, পরিবেশগত ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ২০০২ সালের সংশোধনী পরিপত্রেও বলা হয়েছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দ্বারা বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে পরিবেশগত/অবস্থানগত ছাড়পত্র ব্যতিরেকে কেউ কোনো ইটভাটা স্থাপন বা পরিচালনা করতে পারবে না। কিন্তু সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ-চৌরাস্তা রাস্তার মাঝামাঝি এলাকায় ঘনবসতি প্রভাব খাঁটিয়ে রুবেল সানী নামে এই ব্যবসায়ী সংসার ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা স্থাপন করে স্থানীয় পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে।
স্থানীয়রা অচিরেই বসতি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকা থেকে ইটভাটা অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে স্থানীয়দের রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।
জানতে চাইলে ইট ভাটার মালিক রুবেল সানী কোনো কথা না বলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাঃ শাহজাহান আলি বলেন, অচিরেই অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Comments are closed.