নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বামনী নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে তিনটি ওয়ার্ড
এখনো ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বামনী নদীর ভাঙ্গনে অস্তিত্বহীন চর এলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ইতোমধ্যে বিলীন হওয়ার পথে ইউনিয়নের ১,৪ ও ৫ নং ওয়ার্ড। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাশের ইউনিয়নে ব্লক ফেলে তীর সংরক্ষনের ফলে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে এ ইউনিয়নে।
প্রতিদিন নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে এই ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা সহ রাস্তাঘাট। এরই মধ্যে ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। গেল আট বছরে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ইউনিয়নের নয় কিলোমিটার ভূমি। মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে চর বালুয়া, গুচ্ছ গ্রাম, চর ফকিরাসহ ১৫টি গ্রাম। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার চর ফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারা বালুয়া গ্রামে ব্লক ফেলে নদী ভাঙ্গন রোধ করার ফলে নদীর স্রোত এসে সরাসরি ধাক্কা লাগে চর এলাহি ইউনিয়নে। ফলে গেল দুই বছর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে এ এলাকায়।
জোয়ারে ভেসে গেছে বিদ্যালয়, মসজিদ, সাইক্লোন সেন্টার, বেড়ি বাঁধসহ অসংখ্য সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা। স্থানীয় জন প্রতিনিধি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অচিরেই মহিষ মারা খাল থেকে নদী তীর সংরক্ষনের আরেকটি প্যাকেজ শুরু করে বা ক্রসড্যাম নির্মাণ করে ইউনিয়নটি রক্ষা করা হোক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন বলেন, নদী তীর সংরক্ষনের চলমান ১০ কি. মি. কাজের সাথে আরও ৬ কি. মি. অন্তর্ভুক্ত করে এবং ক্রসড্যাম নির্মাণ করে ভাঙ্গন রোধ করা হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে সরকার এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমন দাবি নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর।
Comments are closed.