চাটখিলের কৃতি সন্তান ড. আজাদ বুলবুলের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন
সম্প্রতি ঘোষিত হয়েছে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৭ সালের ‘হালদা’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনীকারের পুরস্কার পাচ্ছেন চাটখিলের কৃতি সন্তান ড.আজাদ বুলবুল। এই চলচ্চিত্রটি মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাচ্ছে। ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিবেন।
আজাদ বুলবুল’র জন্ম ১৯৬৫ সালের ১ নভেম্বর নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুরের বিশু পাটোয়ারী বাড়িতে। তার পিতা মরহুম খোকা পাটোয়ারী।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সংস্কৃতি: প্রেক্ষিত চাকমা মারমা ও ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠী’ বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি একজন শিক্ষক, গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক। ৯০ দশকের শুরুতে সাংবাদিকতা করেন তিনি। নোয়াখালী’র ইতিহাস ও ঐতিহ্য, আলোকিত অরণ্য, চিরায়ত, পার্বত্য পুরাণ, এষণাসহ আরো অনেকগুলো ছোট-কাগজের সম্পাদক হিশেবেও আছে সুনাম।
এই পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত গন্থের সংখ্যা ১০টি। তাঁর লেখায় ওঠে এসেছে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা তথা সুখ, দুঃখ এবং তাদের পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের মিথষ্ক্রিয়া।
২০১৭ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর আলোচিত উপন্যাস ‘অগ্নিকোণ’। গত শতকের ত্রিশের দশকে চট্টগ্রাম যুববিদ্রোহ, বার্মা, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন তথা মাস্টারদা সূর্য সেন ও তার সহযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের বেদনাদায়ক উপাখ্যানই অগ্নিকোণের উপজীব্য। উপন্যাসটি সাহিত্য-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
আজাদ বুলবুল বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ-শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হিশেবে কর্মরত আছেন।
প্রসঙ্গত যে, এইচ এম ইব্রাহিম প্রযোজিত তৌকির আহমেদ পরিচালিত তিশা, মোশারফ করিম,জাহিদ হাসান, ফজলুর রহমান বাবু, রুনা খান অভিনীত হালদা ছবিটি দেশ-বিদেশে ব্যপক প্রশংসিত হয়েছে।
Comments are closed.