চাটখিলে ভুয়া ডাক্তার জুলফু মিঞা গ্রেফতার
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলমের নেতৃত্বে চাটখিল থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে চাটখিল পৌর শহরের আজিজ সুপার মার্কেটে অভিযান চালিয়ে চাটখিল ডায়াবেটিস এন্ড প্যাথলজি সেন্টার নামক একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মো. জুলফু মিঞা ফিরোজ (৪৫) নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলফু মিঞা ফিরোজ ২০০২ সালের দিকে চাটখিল শিশু হাসপাতালে ওয়ার্ড বয় হিসেবে ৩/৪ বছর চাকুরি করে। পরবর্তীতে সে সোনাইমুড়ি উপজেলার থানার হাট বাজারের ফিরোজা ফার্মেসীতে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা শুরু করে। এর কিছুদিন পর সে চাটখিল আজিজ সুপার মার্কেটে চাটখিল ডায়াবেটিস এন্ড প্যাথলজি সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা শুরু করে এবং প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে। তার ভুল চিকিৎসায় একাধিক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা পত্রিকায় সংবাদ প্রচার করার পর ৩ বছর আগে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে আটক করে ৩ মাসের কারাদন্ড দেন। জেল থেকে বের হয়ে সে পুনরায় একই অপকর্মে লিপ্ত হয়। ইতোমধ্যে তার ভুল চিকিৎসায় উপজেলার রেজ্জাকপুর গ্রামের এক মহিলা রোগী মারা যায়।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে নিউজ করার পর সে গা ঢাকা দেয় এবং তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকে। পালিয়ে থাকা অবস্থায় সে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, চাটখিল প্রেসকাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদেরকে হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠায়। তারপর গত কয়েকদিন থেকে সে আবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রোগী দেখা শুরু করে।
খবর পেয়ে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মো. জুলফু মিয়া ফিরোজ সোনাইমুড়ি উপজেলার মাহুতলা গ্রামের মোল্লা বাড়ীর মৃত মন্তাজ মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্তে সে একজন ভুয়া ডাক্তার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
Comments are closed.