৬৫ বছর পর আবার কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে?
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম। আলমগীরের সঞ্চালনায় গঠিত জাতীয় যুক্তফ্রন্ট যেন ১৯৫৩ সালের যুক্তফ্রন্টের সমার্থক।
ব্যালটের মাধ্যমে ভোট বিপ্লব ঘটাতে ১৯৫৪ সালে নির্বাচন উপলক্ষে আগের বছর (১৯৫৩ সাল) ক্ষমতাসী মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে গঠিত হয় ‘যুক্তফ্রন্ট’।
আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, গণতন্ত্রী দল ও খেলাফত পার্টির সমন্বয়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের নেতা ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
ওই সময় এ কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টির সাংগঠনিক অবস্থা ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগের চেয়ে অনেক দুর্বল।
কিন্তু আওয়ামী মুসলিম লীগ নেতা হোসেন শহীদ
সোহরাওয়ার্দী যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্বে না এসে কৌশলে
ছোট দলের বড় নেতা ফজলুল হককে যুক্তফ্রন্টের নেতৃত্বে রাখেন। ১৯৫৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে (২৩৭ আসন) ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের ভরাডুবি ঘটিয়ে যুক্তফ্রন্ট পায় ২১৫ আসন।
ওই নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করেও ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ পায় মাত্র ৯ আসন।
ঘটনার ৬৫ বছর পর এবার গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মতোই ফ্রন্টের নেতৃত্বে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেই। এ কে ফজলুল হকের মতোই নেতৃত্বে রয়েছেন ছোট দলের বড় নেতা ড. কামাল হোসেন। মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মতোই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রয়েছেন ফ্রন্টের মুখপাত্রের দায়িত্বে।
তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ছোট দলের তিন জাঁদরেল নেতা আ স ম আবদুর রব, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী ও মাহমুদুর রহমান মান্না।
সারাদেশ তো বটেই বিশ্বের দেশে দেশে এই
ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় পাচ্ছে ব্যাপক কাভারেজ।
রাজনৈতিক অঙ্গনে সাড়া পড়ে গেছে।
হয়তো এই ঐক্যফ্রন্টই হতে পারে আগামী দিনের সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথ দেখানো অগ্রপথিক।
Comments are closed.