সংলাপ ইতিবাচক – কাদের
ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ ইতিবাচক হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ ইতিবাচক হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা সংবিধানের বাইরে যাব না। সংলাপে আমাদের মধ্যে মন খুলে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার অধিকাংশ দাবি মেনে নিতে আমাদের নেত্রী সম্মত হয়েছেন। তবে তারা এমন কিছু নিয়ে এসেছেন, সেগুলো নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার একটা বাহানা। সংলাপ শেষ হলেও আলোচনা চলতে পারে। ‘
বুধবার (৭ নভেম্বর) গণভবনে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ১৪ দলের সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
ঐক্যফ্রন্ট সংসদ ভেঙে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন চায়- উল্লেখ করে তিনি বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও রাজবন্দিদের মুক্তি চেয়েছেন তারা। এ বিষয়ে তাদের দাবি মেনে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
কাদের বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি ওইভাবে চাননি তারা। তারা জামিন চেয়েছেন। আমরা বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে এ মামলা করেছে। এটি আগেই নিষ্পত্তি করা যেত, কিন্তু তারা দেরি করেছেন। এখন আদালত তাকে দণ্ড দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি বিষয়ে আদালতের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। আদালত যদি তাদের জামিনে মুক্তি দেয়, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট সেনাবাহিনীর মেজিস্ট্রেসি পাওয়ার চেয়েছে। কিন্তু তা আমাদের দেশে চালু নেই। তবে সেনাবাহিনী টাস্কফোর্স হিসেবে থাকবে, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নিয়োজিত থাকবে।’
সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা নেবেন না মন্ত্রী-এমপিরা, অন্য প্রার্থীরাও সমান সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি।
কাদের বলেন, ‘তারা পদযাত্রা করবে, রোডমার্চ করবে এগুলো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি। কিন্তু এগুলো করতে গিয়ে যদি কোনো ধরনের বোমাবাজি, জ্বালাও পোড়াও এর মতো কোনো ঘটনা ঘটে তাহলে সে পরিস্থিতিতে তো আমরাও চুপ থাকব না।’
আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কয়দিনের সংলাপের সামারি নিয়ে আমাদের অবস্থা, আমাদের বক্তব্য এবং সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বলেও জানান তিনি।
Comments are closed.