রায়পুর ফিসহ্যাচারীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম, আশার আলো দেখেনি তদন্ত প্রতিবেদন!

যোগদানের পর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সাফল্য

54

রায়পুর ফিসহ্যাচারীর ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে কার্যক্রম, উৎপাদন বাড়লেও বাস্তবায়ন হয়নি উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রমযান আলীর সরেজমিনের তদন্ত প্রতিবেদনের পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ। ১০ম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে সাবেক এমপি নোমানের সম্পূরক প্রশ্নে লক্ষ্মীপুর উপজেলাধীন রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির জনবল সংকট এবং ভবন ও পুকুরগুলি জরাজীর্ণ অবস্থায় থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি সচল রাখার ব্যবস্থা করবেন কিনা? জবাবে তৎকালীন মন্ত্রী বলেছিলেন প্রতিষ্ঠানটি অতিদ্রুত সম্ভাব্য সময়ের মধ্যে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রমযান আলী মৎস্য অধিদপ্তর কতৃক সরেজমিনে পরিদর্শনের তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। সরেজমিন তদন্তে তিনি সুপারিশ করেন প্রায় ভরাট হয়ে যাওয়া ২৬টি পুকুরের তলদেশের গভীরতা বাড়ানোর জন্য পূনঃখনন, ২০ টি পুকুরের রিটানিং ওয়াল তৈরি করা, গাড়ি চলাচলের জন্য হেরিং বোন রাস্তা করা, সীমানা প্রাচীর ৮ ফুট উঁচু ও কাটা তারের বেড়া দেওয়া, ভাল ভবনগুলো জরুরী ভিত্তিতে বসবাসের জন্য সংস্কার করা, মিলনায়তনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ইলেকট্রনিক্স সুবিধা করা, ছাদ, দরজা, জানালা মেরামত করা, ডরমিটরীতে আধুনিয়কায়ন করা, ভবন সংস্কার করা, হ্যাচারীর সার্কুলার ট্যাংকসহ রেনু ফোটানোর বোতল বৃদ্ধি করে ভরা মৌসুমে মৎসচাষিদের চাহিদা মোতাবেক রেনু পোনা উৎপাদন, কৈ, শিং, পাবদা, ইত্যাদি মাছের পোনা উৎপাদন, ট্রিটমেন্ট প্লান্ট মেরামত করা, ভালো মানের পিকআপ সরবারহ, আধুনিক এয়ারেটর সরবারহ, উপ-পরিচালক মর্যাদার একটি পদ সৃষ্টি, নিয়োগ গুলো দ্রুত বাস্তবায়ন, বিদ্যুৎ লাইন সংস্কার করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার। কিন্তুু সেই তদন্ত প্রতিবেদন এর সুপারিশ আজো অন্ধকারে রয়ে গেছে।

৫৪ একর জমির মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৯৭৯ সালে কাজ শুরু হয় এবং ১৯৮২ সালের জুন মাসে কাজ সমাপ্ত হয়। সেই সময় এটি ছিল এশিয়ার বৃহত্তম হ্যাচারি। কিন্তু ৩৭ বছরেও আধুনিকায়নের কোন ছোঁয়া না পেয়ে অযত্ন-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে পড়েছে বৃহত্তম এই মৎস্য প্রজনন কেন্দ্রটি। বর্তমানে এ কেন্দ্রের ৮২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে ২৭ জন রয়েছে । নানা সংকটে উৎপাদন মৌসুমে কেন্দ্রে মৎস্য রেণু ও পোনা উৎপাদন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। ৭৫টি পুকুর দিয়ে শুরু হলেও বিভিন্ন কারনে সংখ্যা দাড়িয়েছে ৬৬টি। পুকুর গুলোতে সারা বছর প্রায় ১২টন ব্রুডমাছ সংরক্ষণ ও প্রতিপালন করতে হয় এবং ২২ লক্ষ্য পোনা তৈরি করে সারা বছর মৎস্য চাষিদের নিকট হস্তান্তর করতে হয়। চাঁদপুর সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পাধীন দুই হাজার ৪২৮ হেক্টর আয়তনের বদ্ধ জলাশয়, দুই হাজার হেক্টর আয়তনের নদী, বোরপীট খাল ও প্রধান খালগুলোয় রুই জাতীয় মাছের রেণু ও পোনা মানসম্পন্ন হওয়ায় সারা দেশে অল্প সময়ে এটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। ফলে এখানে উৎপাদিত রেণু ও পোনার বিপুল চাহিদা দেখা দেয়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ৮২ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছে মাত্র ২৭ জন, ৫৫টি পদ শূন্য । তাদের মধ্যে দু’জন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ছয় জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা থাকার কথা। কিন্তু কমর্রত আছে মাত্র দুজন। এছাড়া রেণু-পোনা উৎপাদনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত মৎস্য সম্প্রসারণ সুপারভাইজার ছয়টি পদের মধ্যে ১টি, ফিসারম্যান ৮টির মধ্যে ও হ্যাচারি গার্ড ৮টির মধ্যে সবগুলো শূন্য রয়েছে। কর্মকর্তাদের জন্য সাতটি আবাসিক ভবন রয়েছে। লোকবল না থাকায় এবং ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বি – টাইপ বিল্ডিং এর ১টি ইউনিট ব্যতিত বাকী ৩টি ইউনিট, সি – টাইপ বিল্ডিং এর ১টি ভবন, ই – টাইপ বিল্ডিং এর ৩টি ভবন, এফ টাইপ বিল্ডিং এর ২টি ভবন ব্যবহারের পুরোপুরি অনুপযোগী।

রায়পুর মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার প্রতিবেদককে জানান, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ তে ৫৮ লাখ টাকার উপরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী অর্জন করি, ২০১৯ এর অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্য মাত্রার কাছাকাছি আছি। ইতোমধ্যেই নিজের যতটুকু সুযোগ ছিলো ততটুকু দিয়ে ফিস হ্যাচারিত বৃক্ষ রোপণ করেছি। নিয়মিত টহল জোরদার করেছি। জেনা‌রেটর সচল করেছি। জনবল সংকট সমাধান হলে আরো ৪ প্রজাতি ব্রুড ফিস ও রেণু উৎপাদন শুরু করতে পারবো। লোকবল সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। শূন্য পদে লোক নিয়োগের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বারবার আবেদন জানানো হয়েছে। ৬৯টি পুকুর মেরামত, রাস্তা মেরামত, বাউন্ডারি ওয়াল মেরামত, ৪২টি আবাসিক বাসা ১টি অফিস ভবন, হ্যাচারি ভবন, রেস্ট হাউজ, ছাত্রাবাস, গোডাউন, গ্যারেজ, গার্ড সেড এইচ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেরামত ও অন্যান্য কাজ করার লক্ষ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন এর জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের বৃহত্তম ফিস হ্যাচারির তেমন কোন সংকট থাকবে না।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.