যথাযথ মর্যাদায় মোহাম্মদপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের মহান বিজয় দিবস পালিত
মহান বিজয় দিবস ২০১৯ উপলক্ষে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর জনতা উচ্চ বিদ্যালয় এর যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক জনাব সাইদুর রহমান।
এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান সকলের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য দেন।
রাশেদুল হাসান তার বক্তব্যে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত তার পরিবারের সদস্যদের, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারানো সকল বীর নারীকে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রম ও গতিশীল নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ উন্নয়ন আজ বিশ্বের জন্য মডেল। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি সবাইকে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
বিজয়ের শুভেচ্ছা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণ করে তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব এডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গবদ্ধুর স্বপ্নের সোনালী দেশ বাংলাদেশ আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক পরিচালনায় উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা অচিরেই বিশ্বের বুকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। তিনি বলেন, আজ আমরা জাতীয় পতাকা পেয়েছি, আমরা স্বাধীন, তাই সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেকটরে বাংলাদেশের যেমন উন্নতি হচ্ছে তেমনিভাবে শিক্ষাক্ষেত্রেও উন্নয়ন ধরে রাখতে হবে। কর্মক্ষেত্র তৈরী করতে হবে, সেল্ফ এমপ্লয়েড হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশীয় ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন স্বার্থক হবে।
বিশেষ অতিথি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও সমাজসেবক জনাব সাইদুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের ঋণ আমরা কোনদিন শোধ করতে পারব না। ১৯৫২ থেকে ৭১ পর্যন্ত তৎকালীণ পাকিস্তানী শাসক যেভাবে পূর্বপাকিস্তানকে শোষণ, বৈষম্যতা ও বঞ্চিত করেছে তার প্রতিবাদেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার স্বাধীনতার ডাক দেন। সেই মহান নেতার শক্ত হাত, মেধা, শাহস ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করার পর ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস, বাংলার কৃষ্টি, কালচার ও ঐতিহ্যকে ভবিষ্যত সমাজ ব্যবস্থার দিক নির্দেশনা হিসেবে নিতে হবে, তবেই বর্তমান তরুন সমাজকে বিপদগামী থেকে রক্ষা করা যাবে।
অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ লোকমান হোসেন এম,এস,সি ও জনাব জসিম উদ্দিন বি,এস,সি এর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed.