বেগমগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নে জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক ব্যবসায়ী মারা গেছেন। ঘটনায় তার বাসাসহ পাশ্ববর্তী দুটি বাসা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাসাগুলোর সদস্যদের। গত তিন দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে বেগমগঞ্জে মারা গেছেন তিনজন। আর এ নিয়ে গত সাত দিনে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতজন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভবনগুলো লকডাউন ঘোষণা করেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব আলম। তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তির নমুনার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার পরিবার ও বাসা দুটির লোকজন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবে।
নিহতের স্বজন জয়নাল আবেদিন ঝন্টু বলেন, তারেক মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বেচুর দোকান এলাকার ফারুকের বাসায় পরিবার নিয়ে গত তিন বছর থেকে ভাড়া আছেন। তার গ্রামের বাড়ি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পতিশ গ্রামে। তার বাবা মৃত রফিক উল্যাহ। তারেক পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী ছিলেন। সে ভ্যান দিয়ে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করতেন। গত কিছুদিন ধরে সে প্রচন্ড জ্বর, গলা-শরীর ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) গোলাম ফারুক স্বপন বলেন, তার অসুস্থতার খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমরা তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। পরে তার শরীরে উপসর্গগুলো দেখে করোনা সন্দেহে বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে অবগত করি। বুধবার সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসে সে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, তারেকের নমুনা সংগ্রহ করে বুধবার দুপুরে বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে করোনা উপসর্গ রয়েছে। তবে তার করোনা আছে কিনা তার রিপোর্ট আসলে জানা যাবে। বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরাসহ তার সংস্পর্শে আসা বাকিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
Comments are closed.