ফেনীতে ৩ বছর ধরে অধরা ইতালি প্রবাসীর স্ত্রীসহ দুই শিশু হত্যার ক্লু
ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ায় আলোচিত হত্যাকান্ড প্রবাসীস্ত্রীসহ দুই শিশু হত্যার কু গত ৩ বছরেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে অধরা রয়ে গেছে লোম হর্ষক ঘটনাটি। স্বজনদের অভিযোগ মামলাটি অনেকটা হিমাগারে চাপা পড়ে আছে। ফলে বিচারের বাণী নিরবে নিবৃত্তে কাঁদছে । বিচারের আশায় স্ত্রী সন্তান হারা স্বামী, মেয়ে হারা মা ও বোন হারা ভাই কাঁদলেও হত্যাকারীরা আজো অধরা রযে গেছে ।
সিআইড পুলিশ ও মামালার বাদী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর দিবালোকে ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ার আবদুর রউফ ভূঞা নিবাসে নিজ শয়ন কক্ষে প্রবাসী গৃহবধূ মর্জিনা আক্তার মুক্তা (২৭), তার শিশু ছেলে মহিন মাহমুদ (৩) ও মেয়ে তাসলিম মাহমুদ মাহিকে (৮) হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। প্রথমে তিনজন হত্যার ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে প্রচার হয়।
পরে নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্টে প্রকাশ করা হলে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে প্রতিয়মান হয়। রিপোর্টে নিহতদের শরীরে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া যায়নি। হত্যায় তৃতীয় প জড়িত ছিল বলে নিশ্চিত করেন সিআইড পুলিশ।
কিন্তু আলোচিত ট্রিপল হত্যার কু উদ্ধার হয়নি বছরের পর বছর । পরিবারের দাবীর প্রেক্ষিতে ঘটনার এক বছর পর ২০১৭ সালে ১২ ডিসেম্বর আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করে পুলিশের উধ্বতন কতৃপক্ষ।
মামলার বাদী নিহতের ভাই আনোয়ার হোসেন মাছুম জানান, ঘটনার পর ৩ বছর পার হলেও পুলিশ কু উ™ঘাটনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আসামিদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্থির দাবি জানান।
ঘটনার পর ইতালী প্রবাসী স্বামী তারেক আহম্মদ এ ঘটনায় তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, দশ বছর আগে সাইফুল ইসলাম ইমনের সাথে কথা বলার কারণে আমরা সবাই আমার স্ত্রীকে বকাঝকা করেছিলাম। পরকিয়া প্রমিক ইমন আমার স্ত্রী সন্তানকে খুন করেছে । ইমন আমার স্ত্রী মুক্তার ধর্মীয় ভাই।
মামলার উপ-পরিদর্শক ( এ এস আই) শহিদুল ইসলাম বলেন, মোবাইলের কল লিস্ট ধরে তদন্ত চলছে। তিনি আসামীর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আসামী খোঁজের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ফেনীর পশ্চিম উকিল পাড়ার আবদুর রউফ ভূইঞা নিবাসে
দুই শিশু সন্তানসহ এক প্রবাসীর স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল স্বামীর সঙ্গে কলহের জের ধরে সন্তানদের হত্যার পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া উভয়ের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল বলেও স্বজনারা পুলিশকে জানিয়ে ছিল।
Comments are closed.