নোয়াখালীর ৫৭টি হাসপাতালের লাইসেন্সই নেই!
নোয়াখালী জেলায় স্বাস্থ্য খাতে চলছে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। সেখানকার ৫৭টি প্রাইভেট হাসপাতালের কোনো লাইসেন্স নেই। ৩১০টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে লাইসেন্সের জন্য প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে মাত্র ২৫টির। বিভিন্ন অনিয়মের জন্য সিভিল সার্জন ২০টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সতর্ক করেছেন।
নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, জেলায় বর্তমানে ৩১০টি প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৫৭টির কোনো লাইসেন্স নেই মর্মে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বাকি কতটির লাইসেন্স বা অনুমোদন আছে তা সিভিল সার্জনের অফিসের হিসাব নেই। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইনে অনেকে আবেদন করেছে; তাদের মধ্যে ২৫টি হাসপাতালের প্রতিবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাছুম ইফতেখার বলেন, তিনি সিভিল সার্জন না হলে বুঝতে পারতেন না কীভাবে প্রাইভেট হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বড়লোক হওয়ার ধান্দা করে। হাসপাতাল চালাচ্ছে অথচ ডাক্তার নেই, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স, টেকনিশিয়ান নেই। পরিবেশ সনদ, হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, নারকেটিকস সনদ, হাসপাতালের লেবার রুম, প্রয়োজনীয় জনবল নেই। এমনকি বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও কোনো ব্যবস্থা নেই।
তিনি জানান, এমন ২০টি হাসপাতালকে তিনি শোকজ করেছেন। অথচ তারা শোকজের জবাব দেয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তাও মনে করছে না। তারা নিজেদের মতো করে হাসপাতাল চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে ২৫টি হাসপাতালের। কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স পাওয়ার আগেই হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
Comments are closed.