নোয়াখালীতে ১ লাখ ৪ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছেছে
এক লাখ ৪ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে রবিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে একটি বিশেষায়িত গাড়িতে করে নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআইয়ের বিশেষায়িত কক্ষে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসক এর সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাঁন এর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ভ্যাকসিন হস্তান্তর করেন। এসব ভ্যাকসিন সিভিল সার্জন অফিসের ইপিআইয়ের বিশেষায়িত কক্ষে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
এসময় জেলা সিভিল সার্জনের পক্ষে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের রিজিওনাল সেলস এক্সিকিউটিভ গোপাল ভদ্র উপস্থিত ছিলেন।
ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস বলেন, নোয়াখালী জেলায় প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৪শ’ ভায়াল করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা হয়েছে। এতে ১ লাখ ৪ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবেন তাদের প্রশিক্ষণ চলবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে। জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। পরে, উপজেলা পর্যায়ে প্রদান করা হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাংবাদিকদের দেওয়া হবে। তবে ১৮ বছরের নিচে কাউকে এ মুহূর্তে এ টিকা দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা ফার্মাসিউটিক্যালসের যৌথ উদ্ভাবনায় উদ্ভাবিত ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে তিন স্তরে পরীক্ষিত করোনার ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’ এর বাণিজ্যিক উৎপাদন ও বিপণনের দায়িত্ব পেয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। ভারতীয় প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে তাদের সঙ্গে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনার চুক্তি করে। এরপর প্রথম দফায় ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন এনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর তা দেশের সব জেলায় পৌঁছে দিচ্ছে বেক্সিমকো।
Comments are closed.