নোবিপ্রবি ক্যাফেটেরিয়ায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, নিম্নমানের খাবার

53

প্রতিষ্ঠার এক যুগেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নেই মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর একের পর এক সমস্যার মুখোমুখি হন শিক্ষার্থীরা। তার মধ্যে ক্যাফেটেরিয়া সমস্যা অন্যতম। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রায় ছয় হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে আধাপাকা ছোট একটি ক্যাফেটেরিয়া, যেটি নানা সমস্যায় জর্জরিত।

ভর্তুকিবিহীন এই ক্যাফেটেরিয়ায় নিম্নমানের খাবার উচ্চমূল্য বিক্রি, ভেতর এবং বাহিরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বসার জায়গা সংকট, নিরাপদ পানির অভাব, পর্যাপ্ত লাইট ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকাসহ আরো বেশ কয়েকটি সমস্যা শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্যাফিটেরিয়ার চারপাশে আগাছায় ভরে গেছে। কয়েকটি জানালা ভাঙা, ভেতরে নেই বসার জন্য মানসম্মত পরিবেশ, বিকল হয়ে পড়ে আছে কয়েকটি ফ্যান এবং উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। নেই কোনো খাবারের মূল্য তালিকা। ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরে খাবার টেবিলে বসেই ধূমপান করছে কিছু শিক্ষার্থী।

মাস্টার্সে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে মানসম্মত একটি ক্যাফেটেরিয়ার অভাব অনুভব করছি। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া এতটা বাজে হতে পারে কল্পনাও করিনি। কোনরকম আধাপাকা একটি বিল্ডিং বানিয়ে রাখা হয়েছে। নিরাপদ পানির অভাব, নিম্নমানের খাবারের উচ্চ দাম, বসার জায়গা সংকটসহ আরো নানা সমস্যায় জর্জরিত এই ক্যাফেটেরিয়া। একজন অতিথি আসলে যে তাকে ক্যাফেটেরিয়ায় নিয়ে আপ্যায়ন করব সে পরিবেশ নেই। এর আগেও আমরা বিষয়টি প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিন্তু, কোন কাজ হয়নি। আশা করি বর্তমান ভিসি স্যার মানসম্মত অত্যাধুনিক একটি ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে আমাদের মেজর এই সমস্যাটি সমাধান করবেন।

বিষয়টি নিয়ে ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মো. ইউসুফ কামাল নিজেও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, যতদূর জানি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া থাকে আধুনিক মানসম্মত। এই ক্যাফেটেরিয়ার সমস্যার শেষ নেই। দরজা, জানালা ভাঙা, চারপাশে আগাছায় ভরে গেছে, পানির লাইন নেই, বসার জায়গা সংকট, কয়েকটি ফ্যান নষ্টসহ আরো বেশ কয়েকটি সমস্যা আছে এখানে। উচ্চ পর্যায়ের গেস্টরা আসে এখানে। কিন্তু, মানসম্মত পরিবেশ না পেয়ে চলে যায়। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আধুনিক একটি ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করুক।

খাবারের উচ্চমূল্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তুকি দিয়ে আমাদের খাবারের মূল্য তালিকার একটি চার্ট করে দিক। আমরা সে মূল্যেই খাবার বিক্রি করব। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে অনেকেই বাকি খেয়ে টাকা দেয়না। কিছু বললে জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেয়।

ক্যাফেটেরিয়ার বিভিন্ন সমস্যার কথা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, উপাচার্য হিসেবে এখানে যোগদানের পর বেশ কয়েকটি সমস্যা আমার চোখে পড়েছে। সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিগগিরই ক্যাফেটেরিয়াটি সংস্কার এবং এর বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করব।
সময়োপযোগী আধুনিক মানসম্মত ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করা হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমান ক্যাফেটেরিয়াটি মানসম্মত নয়। আধুনিক মানসম্মত নতুন একটি ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ করার পরিকল্পনা আমাদের হাতে রয়েছে।

আরও পড়ুন

দাখিল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল চাটখিল কামিল মাদ্রাসা।

চাটখিলে দাখিল পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএম এর নোয়াখালী জেলার সভাপতি ডাঃ এম এ নোমান,চাটখিল কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া।

চাটখিলে ডিয়ার ছোয়াদ এজেন্সির হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান (রুবেল ভূঁইয়া) উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন এবং মাঠ সম্প্রসারণের কাজ সম্পর্কে অবগত করেন এবং মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন-এইচ এম ইব্রাহিম

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া বলেন,ঐতিহ্যবাহী চাটখিল কামিল মাদ্রাসা একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

Comments are closed.