নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার: খুমেকের আরএমওর বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় ডা. মন্দিরা মজুমদার নামের এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। এই আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরএমও ডা. সুহাসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার মজিদ সরণি রোডের বাসা থেকে ওই নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্দিরা মজুমদার ওই এলাকার ব্যবসায়ী প্রদীপ মজুমদারের মেয়ে। তিনি গতবছর খুলনার বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মামতাজুল হক জানান, ডা. মন্দিরার মরদেহ নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারপরও তার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ডা. মন্দিরার বাবা তার মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে খুমেকের আরএমও ডা. সুহাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আবেদনে নিহতের বাবা উল্লেখ করেছেন, ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার পিত্তথলির অপারেশন হয়। তখন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুহাস রঞ্জন হালদারের সঙ্গে আমার মেয়ের পরিচয় হয়। সুহাস তার স্ত্রীর কথা গোপন করে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এই সম্পর্কের জেরে ডা. সুহাস আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে রাতযাপন করেন।
পরবর্তীতে আমার মেয়ে জানতে পারে ডা. সুহাস বিবাহিত। আমার মেয়ে তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেন। মেয়েটি যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
প্রদীপ মজুমদার বলেন, আমার তো সবই শেষ হয়ে গেছে। ওকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আইনগত বিষয়টি পুলিশ দেখবে। মামলা হলে সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো।
Comments are closed.