নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে: প্রধান আসামিকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় প্রধান আসামি বাদলকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
সোমবার রাতে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব ১১-এর একটি দল।
বেগমগঞ্জ থানার ওসি হারুন রশীদ চৌধুরী জানান, গ্রেফতার ১নং আসামি বাদলকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ সোমবার রাতে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ৪নং আসামি সাজু ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সোহাগকে গ্রেফতার করে ভোরে থানায় নিয়ে এসেছে।
সোহাগ মেম্বার মামলার আসামি না হলেও তিনি ঘটনা জেনেও তা গোপন রেখে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এ ছাড়া দোলোয়ার বাহিনীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের এলিট ফোর্স সোমবার রাতে কিশোর গ্যাং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নিয়ে অভিযান চালায়। এ সময় দেলোয়ারের মৎস্য খামার থেকে সাতটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়। তবে দোলোয়ারকে এখন পর্যন্ত বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।
এদিকে এ ঘটনা পর্যবেক্ষণ ও সরেজমিন দেখার জন্য মঙ্গলবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন নোয়াখালী আসবেন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভিকটিম ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন।
এর পর বেগমগঞ্জ থানায় যাবেন এবং পুলিশ সুপারসহ পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনাসহ তদন্তের অগ্রগতি দেখবেন বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাসপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকায় ওই গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এর পর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। সেটি ছড়িয়ে দেন ইন্টারনেটে। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
Comments are closed.