টার্গেট ছিল ৭০০ বিয়ে, ২৮৬ করেই ধরা জাকির!
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ২৮৬টি বিয়ে করে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন লালমনিরহাটের যুবক জাকির হোসেন ওরফে রাব্বী।তার খবরটি এখন টক অব দ্যা লালমনিরহাটে পরিণত হয়েছে।
এখন প্রতারিত নারীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেও লজ্জা পাচ্ছেন। বিয়ের নামে অসংখ্য নারীর সাথে এই যুবকের মেলামেশার খবর বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রকাশের পর প্রথমে অনেক নারী থানায় গিয়ে কিংবা ফোনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা কাছে অভিযোগ দাখিল করলেও এখন তারা আর পরিচয় দিতে চাচ্ছেন না।
কোনো কোনো গণমাধ্যমে জাকিরের স্ত্রী হিসেবে কয়েকজন নারীর নাম আসায় তারা রীতিমতো নাখোশও হয়েছেন।
এতে তাদের সামাজিক মর্যাদা বা আগামী দিনের পথ চলায় সমস্যার আশঙ্কায় তারা পরিচয় গোপন রাখার পথে হাঁটছেন।
২৮৬ বিয়ে করা জাকিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, জাকিরের বিরুদ্ধে যেসব নারী অভিযোগ করছেন তারা কেউই চান না পরিচয় প্রকাশ হোক। তাই তারা কোনো মিডিয়ায় কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। আমরা মামলার তদন্তের স্বার্থে নারীদের পরিচয় গোপন রেখেই তদন্ত কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
এর আগে, গত বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলা করেন মণিপুরি পাড়ার একটি ছাত্রী হোস্টেলের ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী।
অভিযোগের ভিত্তিতে সে দিনই জাকির ও তার সহযোগী জায়েদা আক্তার শাপলাকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা-পুলিশ।
পরদিন বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌফিক আহমেদ জাকিরের ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তার ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড না চাওয়ায় শাপলাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে, ২৮৬ বিয়ে করা জাকিরকে নিয়ে দেশজুড়ে চললে আলোচনা। এর মধ্যেই পুলিশ পেয়েছে আরো কিছু তথ্য।
জানা যায়, প্রতারক জাকিরের শখ ছিল সে ৭০০ বিয়ে করবে। এরপর সে যাবতীয় পাপ কাজ ছেড়ে নামাজ রোজা ধরবে।
পরে সৌদি আরবে গিয়ে পূণ্য অর্জন করারও ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু ২৮৬ বিয়ের পর ধর্ষণ মামলায় আটক হওয়ায় তার সে বাসনা থমকে গেল।
Comments are closed.