চাটখিল-পাল্লা রোডের বেহাল দশা, মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জনসাধারণ
এলাকার মানুষেরা এখন এজমা, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরণের রোগে ভুগছে। কবে এই রাস্তাটার কাজ শেষ হবে, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে? সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে এলাকার জনসাধারণ।
নোয়াখালীর চাটখিল সিএন্ডবি রোড (মোহাম্মদীয়া হোটেলের পশ্চিমে) থেকে উত্তর দিকের পাল্লা রোডের এই বেহাল দশা। দীর্ঘ প্রায় তিন-চার বছর থেকে জায়গায়-জায়গায় গর্ত পড়ে থাকায় এলাকার জনসাধারণ বহু কষ্ট ভোগ করেছে।
পৌর ইলেকশনের (২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি) আগে হঠাৎ কর্তৃপক্ষের বোধদয় হয়। রাস্তাটা টেন্ডার হয় এবং পিচঢালা পথ ট্রাক্টর দিয়ে আঁচড়িয়ে, রোলার দিয়ে মাড়িয়ে হাঁটা ও গাড়ি চলাচলের উপযোগী করে ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘ সময় ফেলে রাখার কারণে আবার সেই রাস্তায় স্থানে স্থানে পানি জমে, বড়বড় গর্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
প্রায় দু’বছর পর গত বছর কারি সাহেব বাড়ি থেকে পাল্লা বাজার এবং ফটিকা বাড়ি থেকে দেওয়ান বাড়ি পর্যন্ত অংশটুকু সম্পন্ন করা হয় বাকি অংশ পড়ে থাকে। গত ছয় মাস আগে রাস্তার বাকি অংশে ইটেরকনা ফেলে রোলার দিয়ে মাড়িয়ে ফেলে রাখা হয়। এতদিন কোন রকম লোকজন চলছিলো। দীর্ঘ সময় এভাবে ফেলে রাখার কারণে এখন আবার চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
রাস্তায় চলতে গেলে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হয়, ধুলোবালিতে দমবন্ধ হয়ে আসে। রাস্তার দু’পাশের অন্তত ত্রিশগজের মধ্যে থাকা গাছের পাতা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য পরিবহনগুলো যাওয়ার সময় ইটের গুড়ো আর বালুতে মুহুর্তে ঘোর অন্ধকার হয়ে যায়। রাস্তার আশেপাশের ঘরবাড়ির দরজা-জানালা দিনের বেশিরভাগ সময় বন্ধ রাখতে হয়।
এলাকার মানুষেরা এখন এজমা, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরণের রোগে ভুগছে। কবে এই রাস্তাটার কাজ শেষ হবে, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে? সেই অপেক্ষার প্রহর গুনছে এলাকার জনসাধারণ।
এই ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এটি পৌরসভার রোড নয়, এটি জেলা পরিষদের রোড পৌর-এলাকার ভিতর দিয়ে গেছে। কাজের সময় বেশি হওয়ায় মালামালের দাম বেড়ে যায় তাই কন্ট্রাক্টর কাজ ফেলে রেখে পালিয়েছেন। আমি এমপি সাহেবকে বলেছি। এমপি সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন। এমপি সাহেব ও আমি শীঘ্রই এর ব্যবস্থা নেব ইনশাআল্লাহ।
Comments are closed.