চাঁদা না দেয়ায় শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী-পুত্রকে তুলে নিয়ে গেলেন এসপি হারুন

100

দাবি করা ৮ কোটি টাকা চাঁদা না দেয়ায় গভীর রাতে বাসায় ঢুকে আম্বার গ্রুপের কর্ণধার শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ও পুত্রকে তুলে নিয়ে গেছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। এছাড়া ঢাকা ক্লাব থেকে তার ব্যক্তিগত গাড়িটিও জব্দ করে নিয়ে গেছেন এসপি হারুন। গুলশান ও শাহবাগ থানা পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানে না।

শওকত আজিজ রাসেল জানান, আম্বার গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আম্বার ডেনিমের কাছে ৮ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন এসপি হারুন। এই চাঁদা না দেয়ায় শুক্রবার রাতে তার শুলশানের বাসভবনে গভীর রাতে তিনি হানা দেন। তার সঙ্গে ছিলেন ডিবির পোশাক পরা, সাদা পোশাকধারী ও পুলিশের পোশাক পরা ৬০ থেকে ৭০ জন। এ সময় তার বাসা তছনছ করা হয়। তাকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রী ও পুত্রকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের গুলশান থানায় না রেখে কিংবা কোনো তথ্য না দিয়ে সরাসরি নারায়গঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়।

শওকত আজিজ রাসেলের বাসভবনে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে এসপি হারুনের প্রবেশ এবং তার স্ত্রী-পুত্রকে তুলে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এসপি হারুন দলবল নিয়ে শওকত আজিজ রাসেলের বাসভবনের নিচতলায় ঢুকে সঙ্গীদের ওপরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। লিফটে করে ১১তলায় তার বাসভবনে তিন দফায় প্রায় ২০ জন প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার সঙ্গে আসা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রাসেলের স্ত্রী ও পুত্রকে বের করে নিয়ে আসেন।

শওকত আজিজ রাসেল জানান, আগের দিন বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা ক্লাব থেকে তার গাড়িটিও জব্দ করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে গেছেন এসপি হারুন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শওকত আজিজ রাসেলের বাসভবনে এসপির হারুনের এই বাহিনী নিয়ে প্রবেশের কথা জানে না গুলশান থানা পুলিশ কিংবা ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি।

শওকত আজিজ রাসেলের স্ত্রী ফারাহ রাসেল মরহুম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ইমতিয়াজ আহমেদ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ কন্যা। তাদের ২৩ বছরের দাম্পত্য জীবন। আর ছেলে আহনাফ আজিজ যুক্তরাজ্য থেকে পড়াশোনা শেষ করে সদ্য দেশে এসেছেন।

জানা গেছে, এসপি হারুন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হলেও রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজী করে যাচ্ছেন। প্রতিমাসে তিনি এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ঢাকায় এসে নিয়মিত গুলশানের লেকশোর হোটেলে বসেন। সেখানে বসেই চাঁদাবাজীর নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করেন এবং চাঁদার টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে যান।

উল্লেখ্য, এসপি হারুন নিয়মিতই নাম্বার প্লেটহীন গাড়িতে করে ঢাকায় চলাফেরা করেন। রাজধানীর শাহবাগ, মগবাজার ও গুলশান, বনানীতে স্থাপিত পুলিশের সিসিটিভি ফুটেজ (১ নভেম্বর) পর্যালোচনা করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

বিশিষ্ট শিল্পপতি আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শওকত আজিজ রাসেলের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদা দাবি করে আসছেন এসপি হারুন। গত ৫ মে হারুনের বিরুদ্ধে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন শওকত আজিজ রাসেল।

পুলিশের কাছে দেয়া অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৩ মে সন্ধ্যায় এসআই আজহারুল ইসলামের মাধ্যমে এসপি হারুন আম্বার ডেনিমের স্টোর ম্যানেজার ইয়াহইয়া বাবুর কাছে প্রথমে মোবাইলে এ চাঁদা দাবি করেন। সে সময় আজহার বলেন, “এসপি হারুন সাহেব এইমাত্র আমাকে ফোন করেছেন। উনি বলেছেন, আম্বার গ্রুপের চেয়ারম্যানের লোকজনকে ডাকাও। আমার টাকা লাগবে। তাড়াতাড়ি ৮ কোটি টাকা পাঠাও।”

অভিযোগকারী সূত্রে জানা যায়, এর আগেও এসপি হারুণ দুই দফা এ চাঁদা দাবি করেন। অভিযোগপত্রে শওকত আজিজ রাসেল উল্লেখ করেন, “এসপি হারুন আমাকে গুলশান ক্লাবের লামডা হলে ও গুলশানের কাবাব ফ্যাক্টরি রেস্তোরাঁয় ডেকে নিয়ে দুইবার আমার কাছে চাঁদা দাবি করেন। ওই টাকা ডলারে আমেরিকায় এসপি হারুনের নির্ধারিত ঠিকানায় পাঠাতে বলেন। টাকা না দিলে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আম্বার ডেনিম ধ্বংস করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন।”

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, “টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমার কোম্পানি আম্বার ডেনিম ফ্যাক্টরির ৪৫ জন কর্মীকে গভীর রাতে গাজীপুর থানায় ধরে নিয়ে যান। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠান এসপি হারুন।”

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদা না দেয়ায় আম্বার গ্রুপের ওপর অসন্তুষ্ট হারুন। আম্বার গ্রুপের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে নানা সময়ে ফোনে ও থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে চাঁদার জন্য হুমকি দেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহবুবুর রহমান সে সময় নিউজবাংলাদেশকে বলেছিলেন, “আমি তো তদন্ত করছি। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

কিন্তু এসপি হারুনের বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে উঠছে আম্বার গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সেসব প্রতিষ্ঠানে ৫০০ থেকে ১০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকেও মাসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন এসপি হারুন। ওই চাঁদা না দেয়ায় তিনি আম্বার গ্রুপের কর্ণধারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আটক বাণিজ্যসহ নানা ধরণের বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে আলোচনায় আসা এসপি হারুন বহাল তবিয়তে চাকরি করে যাচ্ছেন। ফলে যে কারো মনে হতেই পারে, তিনি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। যে ক্ষমতা দিয়ে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করেন। আইনের হাত তার দিকে প্রসারিত হয় না।

দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা থাকলেও কোনো কিছুকেই তিনি তোয়াক্কা করেননি। অদৃশ্য এক শক্তির ইশারায় তিনি পুলিশ প্রশাসনে নিজের অধিপত্য বজায় রেখে চলেছেন। সাধারণ মানুষ তো তার কাছে পাত্তাই পায় না। এমনকি সরকারি দলের লোকজন, এমপি-মন্ত্রীকেও তিনি তোয়াক্কা করেন না। এসব কারণে তার বিরুদ্ধে কোনোদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা শোনা যায়নি। উল্টো বিভিন্ন সময় তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।

ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে টক্কর দিয়েও নারায়ণগঞ্জে টিকে আছেন এই বেপরোয়া পুলিশ সুপার। এতটাই তার ক্ষমতা।

ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদাবাজি, জমি দখল আর বিভিন্ন ঘটনায় নাটক সাজিয়ে নিরপরাধ মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করা নিয়ে তার বিরুদ্ধে হাজার অভিযোগ আছে। তার দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির খবর বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকার হেডলাইন হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতির রাজত্ব কায়েম করা হারুন থেকে গেছেন ঘটনার অন্তরালে।

এই এসপি হারুন বর্তমানে নায়াণগঞ্জের এসপি হিসেবে কর্মরত। এসপি হিসেবে তিনি প্রথম গাজীপুরে নিয়োগ পান। সেখানকার মানুষ আজও এসপি হারুনের নাম শুনলে ঘৃণায় থু থু ফেলে। আতঙ্কে কারো কারো রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। গাজীপুরে জমি দখল চাঁদাবাজিসহ তার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও সেসব অভিযোগের কোনো সুরাহা হয়নি।

গাজীপুরে এসপি হারুনের চার বছরের রাজত্বে মাদক ও আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা ও জুয়ার জমজমাট ব্যবসা চলে। আর এসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা।

নারায়ণগঞ্জে বদলি হয়েই তিনি সেখানকার আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। শামীম ওসমান নিজেও এসপি হারুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলেন।

সরকার দলীয়রাও রেহাই পায়নি কুখ্যাত এই এসপির হাত থেকে। সরকার দলীয় কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, নূরুল ইসলাম নূরু, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি মাসুদ রানা এরশাদ ও তার পাঁচ সহোদরসহ অনেক দলীয় নেতাকর্মী এসপি হারুন কর্তৃক নাজেহাল ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। এমনকি গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেলের চাচা মতিউর রহমানকেও হয়রানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উঠতি ব্যবসায়ীদের নানা অজুহাতে গ্রেফতার করে তাদের কাছ থেকে পাঁচ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতো বলেও গাজীপুরের স্থানীয়দের অভিযোগ আছে।

কালিয়াকৈরের যুবলীগ নেতা রফিক হত্যার পর ডিবির উৎপাতে কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা, পল্লীবিদ্যুৎ, হরিণহাটিসহ আশপাশের এলাকা প্রায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। তখন ১৫ দিনে প্রায় দেড়শ লোককে ডিবি আটক করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এক ব্যক্তিকে দুই থেকে তিনবার আটক করার ঘটনাও ঘটেছে।

সরকার বর্তমানে দুর্নীতিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। কিন্তু আলোচিত দুর্নীতিবাজ এসপি হারুন এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের পাশাপাশি দেশের মানুষ তার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো অ্যাকশন না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

বিভিন্ন পত্রপত্রিকরা রিপোর্ট অনুযায়ী তিনি চাঁদাবাজি আর দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি গাড়িসহ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেনে। বিদেশে পাচার করেছেন শত শত কোটি টাকা।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এসপি হারুনের স্ত্রীর ১৫৩২ কোটির টাকার সমপরিমান বৈদেশিক মুদ্রা আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এই বিপুল পরিমান অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার করেছিলেন হারুন। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় নগদ ৫ মিলিয়ন ডলারে একটি বাড়ি কিনতে গেলে অর্থের উৎস নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপরই ওই টাকা আটকে দেয় এফবিআই।

এরপর ধরা পড়ে হারুনের স্ত্রীর ১৮০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদের পাহাড়, যা পরে আটকে দেয় এফবিআই। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হারুন গাজীপুরে ১৬৩ বিঘা জমি কিনেছেন, এরমধ্যে শ্রীপুর উপজেলায় ৫৬ বিঘা, কালিগঞ্জে ২২ বিঘা এবং গাজীপুর সদরে ৮৫ বিঘা রয়েছে। ঢাকা শহরে কিনেছেন একাধিক বাড়ি। এছাড়া মালয়েশিয়াতে সেকেন্ড হোম প্রজেক্টের অধীনে সরাসরি বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৮৯০ কোটি টাকা। সেখানকার নাগরিকত্বও নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালে গাজীপুরে ভূমি জালিয়াতি মামলায় এসপি হারুনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। জোরপূর্বক ৮ বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা গাজীপুর মহানগরের ভোগড়ার বাসিন্দা এম দেলোয়ার হোসেন ওই মামলা দায়ের করেন। এই বাদীর বাড়ি থেকে পৌনে তিন কোটি টাকার সম্পদ লুটপাটেরও অভিযোগ আছে এসপি হারুনের বিরুদ্ধে।

এই বিতর্কিত এসপির দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে শত শত প্রতিবেদন প্রকাশ পেলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তিনি অধরাই রয়ে গেছেন।

২০১৪ সালে গাজীপুরের এসপি পদে নিয়োগ পান হারুন। টানা চার বছর সে দায়িত্বে তার দুর্নীতির পরিমান ৪ হাজার কোটি টাকার মত হতে পারে বলে মনে করেন পুলিশ বিভাগে কর্মরত তার সহকর্মীরা।

আরও পড়ুন

বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন বিএম এর নোয়াখালী জেলার সভাপতি ডাঃ এম এ নোমান,চাটখিল কামিল (এম.এ) মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া।

চাটখিলে ডিয়ার ছোয়াদ এজেন্সির হজ্জ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান (রুবেল ভূঁইয়া) উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে প্রতিষ্ঠানের চলমান উন্নয়ন এবং মাঠ সম্প্রসারণের কাজ সম্পর্কে অবগত করেন এবং মাদ্রাসা ক্যাম্পাস ঘুরিয়ে দেখান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসার উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন-এইচ এম ইব্রাহিম

মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি মো.মেহেদী হাছান রুবেল ভূঁইয়া বলেন,ঐতিহ্যবাহী চাটখিল কামিল মাদ্রাসা একটি শতবর্ষী প্রতিষ্ঠান।জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

Comments are closed.