চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
বেগমগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ (আহসান সাউয়্যেদ) মাদ্রাসা পরিদর্শনের নামে কথিত বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা বলে আবারও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানান, আগামী ৭ ডিসেম্বর ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্যাহ(আহসান সাইয়েদ) মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসার নামে কথিত বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ২০০, ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত ৩০০, সপ্তম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ৪০০, ১০ শ্রেণী ৬০০, আলিম-ফাজিল ৫০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনুষ্ঠানের নামে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাধ্যে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ
করছে। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনের করেন স্থানীয়রা।
এর আগে চলতি বছরের জুন মাসের ১৫ তারিখে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসার নামে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করা হয় বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বিশেষ কারণ বশত উপাচার্য মাদ্রাসা পরিদর্শনে না আসলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তেলিত
টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ এ এইছ এম আবদুল হাইসহ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধান কালে অভিভাবকরা সাংবাদিকদের জানান, এই মাসে ছেলে-মেয়েদের ফাইনাল পরিক্ষা ফি, কোচিং ফি, বেতনসহ নানাবিধ খরছ দিয়ে সংসার চালাতে হিম সিম খাচ্ছি তার উপর বাড়তি টাকা আমাদের বেকায়দায় ফেলেছে। তারা প্রশ্ন রাখেন- উপাচার্য মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসবেন ভলো কথা, এতে আবার টাকা দিতে হবে কেনো?
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এইছ এম আবদুল হাই এর মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বাসে করে ঢাকায় যাচ্ছেন, পরে কথা বলবেন বলে জানান।
তবে ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ (আহসান সাউয়্যেদ) জানান, এমন কোন বিষয় আমার জানা নেই। আমি
মাদ্রাসায় যাওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা অন্যায়। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।
Comments are closed.