কোনোভাবেই সাদিয়ার বুকফাটা কান্না থামছিল না
চট্টগ্রামের পাথরঘাটা এলাকায় গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে ভবনধসে ৭জন নিহত হয়েছেন। এ সময় দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ১০ জন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা এলাকার ব্রিকফিল্ড রোডে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, এদিন সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন রংমিস্ত্রি নুরুল ইসলাম (৩১)। আর ওই সময় পাশের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ওই ভবনের দেয়াল ধসে তার ওপর পড়ায় ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
আর স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন তার স্ত্রী সাদিয়া সুলতানা ও স্বজনরা। তারা আহাজারি করতে শুরু করেন। তাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
এসময় তবে কোনোভাবেই সাদিয়া সুলতানার কান্না থামছিল না। শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে হাউমাউ করে কান্না করছিলেন। মায়ের সঙ্গে ছোট্ট শিশুটিও কাঁদছিল। তাদের বুকফাটা কান্নায় আশেপাশের মানুষও তাদের চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিল না।
এ বিষয়ে নুরুল ইসলামের শ্বশুর সাইফুল ইসলাম জানান, কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়েছিলেন নুরুল। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। এখন মেয়ে কেমন করে বাঁচবে? আড়াই বছর আগে নুরুল ইসলামের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় থাকতেন তারা।
Comments are closed.