ঈদ উপহার হিসেবে কাল ৩৩ হাজার ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার সরকারি লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে ঈদ-উল-ফিতরের আগে আগামীকাল মঙ্গলবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে তৃতীয় পর্যায়ের জমির দলিল ও ঘরের চাবি প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।

 

 

 

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে চট্টগ্রামে তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পেতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, কাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনোয়ারা উপজেলার ৬ নম্বর বারখাইন ইউনিয়নের হাজীগাঁও আশ্রয়ণ প্রকল্প ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন।

ডিসি বলেন, সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলায় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ১ হাজার ২১৬টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ জমিসহ সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ঘর প্রদান করা হবে।

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার তার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে আগামীকাল খুলনার রূপসায় ১৪টি, তেরখাদায় ৬২টি, দিঘলিয়ায় ৩৫টি, ফুলতলায় ৪টি, ডুমুরিয়ায় ৬৫টি, পাইকগাছায় ৩৬টি এবং দাকোপে ২০টি পরিবারের কাছে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে।

তিনি জানান, তৃতীয় পর্যায়ে খুলনার জন্য ৫টি ধাপে সর্বমোট ৯০৬টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং ঘর নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে।

ঈদের আগে বগুড়ায় তৃতীয় ধাপে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে ৯৩০টি গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঘর উপহার। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে জয়পুরহাটের ২০৬টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে তাদের স্বপ্নের নিবাস। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম।

পিরোজপুরে মুজিবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৃতীয় পর্যায়ের উপহারের ঘর পাচ্ছে ১ হাজার ১১১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে প্রায় ৫ একর জমির ওপর ২২৮টি ঘর নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। আগামীকাল এসব ঘর হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক-সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক চৌধুরী রওশন ইসলাম।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঈদ উপহার হিসেবে পাবনা জেলার ৩৭৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ স্বপ্নের ঘর। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে প্রেস বিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন এ তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, তৃতীয় পর্যায়ে ঈদ উপহার হিসেবে পাবনার ৯ উপজেলায় ৩৭৩টি ঘর হস্তান্তর করা হবে। পাবনায় মোট ৬৫৪টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ঘরের কাজ জুনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে।

এর আগে পাবনায় ২ পর্বে ১ হাজার ৪২৩টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এগুলোতে বিদ্যুৎ, রাস্তা, পানিসহ সব সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে নওগাঁ জেলায় ৫৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে জমিসহ বাড়ি। জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কর্মসূচির তৃতীয় পর্যায়ে জেলায় ৬১০টি পরিবারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের আওতায় ইতোমধ্যে ৫৪০টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭০টির নির্মাণ কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান তার সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসেবে আগামীকাল জেলার ৫টি উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ১ হাজার ১৮৪টি গৃহহীন পরিবার জমিসহ পাকা বাড়ি পাচ্ছে। ৬৯৬টি পরিবারকে জমির দলিলসহ পাকা বাড়ি উপহারের দলিল হস্তান্তর করা হবে।

এবার প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে সামান্য ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। তাই নির্মাণ ব্যয় বাড়ি প্রতি ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরগুনার খাজুরতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। প্রাথমিকভাবে ২১৯ জনকে তালিকাভুক্ত করে তাদের পরিবারের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে ২ শতাংশ জমিতে ২ রুমের পাকা ঘরের সঙ্গে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা দেওয়া হবে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রতিটি ঘরেই জ্বলবে বিদ্যুতের আলো।

মুজিববর্ষে রংপুরের পীরগঞ্জে তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায় জানান, তৃতীয় পর্যায়ে পীরগঞ্জে ২৪০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরমধ্যে ১২০টি পরিবারকে জমি হস্তান্তর করবেন।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তৃতীয় পর্যায়ে চাঁদপুরের ৭৫২ পরিবারকে ভূমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হবে আগামীকাল। এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিং করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এতে জানানো হয়, জেলায় ভূমিহীনদের ১২৩টি ঘর দেওয়া হচ্ছে।

রাঙ্গামাটিতে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আগামীকাল তৃতীয় পর্যায়ে জেলায় মোট ২০৬টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের পাকা ঘর পাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৫০টি পরিবার। জেলা প্রশাসক মো.আনোয়ার হোছাইন আকন্দ নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে জানান, তৃতীয় পর্যায়ে জেলার ৫টি উপজেলার ২৬টি স্থানে ১ হাজার ৪৪২টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান। এরমধ্যে ৩৫০টি পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করা হবে কাল।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘর নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান জানান, আগামীকাল কেরানীগঞ্জ উপজেলার ১৫টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদের উপহার হিসেবে পাকা ঘর পাচ্ছে যশোরের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬১০টি পরিবার। যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান এ তথ্য জানান।

নীলফামারী জেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের নতুন পাচ্ছে ১ হাজার ২০৫টি গৃহহীন পরিবার। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব ঘর হস্তান্তর করবেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, তৃতীয় পর্যায়ের এসব ঘরের প্রতিটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা করে।