ইসিতে চ্যালেঞ্জ বাদ পড়াদের

78
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন। প্রথম দিনে গতকাল ৮৪ প্রার্থী মনোনয়ন ফিরে পেতে আপিল করেছেন। রোববার মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের দিনে রেকর্ড ৬৮৬ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বিরোধী জোটের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে বিএনপির ১৪১ জন। আওয়ামী লীগের বাতিল হয়েছে তিন প্রার্থীর মনোনয়ন। মনোনয়ন বাতিলের তালিকায় আছেন অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী। ঠুনকো কারণে মনোনয়ন বাতিল হয়েছে এমন অভিযোগও করেছেন প্রার্থীরা।

বাতিল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন ভবনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত এ অভিযোগ জমা দেয়ার সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা। এদিকে রোববার মনোনয়ন বাছাইয়ে সারা দেশে আওয়ামী লীগের ২৭৮ জন প্রার্থী বৈধ হয়েছে। আর বিএনপির ৫৫৫ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

গতকাল সোমবার আপিল শুরুর দিনেই আলোচিত প্রার্থী গোলাম মাওলা রনি, ইমরান এইচ সরকার, ড. রেজা কিবরিয়া, হিরো আলমসহ বাছাইয়ে না টেকা ৮৪ জন প্রার্থী ইসিতে এসে আপিল করেছেন। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে মনোনয়নে বাদপড়া নেতারা আপিল করে পুনরায় তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গতকাল যারা আপিল করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, পটুয়াখালী-৩ আসনের গোলাম মাওলা রনি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নবাব মোহাম্মদ শামছুল হুদা, বগুড়া-৭ খোরশেদ মিলটন, খাগড়াছড়িতে আব্দুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, ঝিনাইদহ-১ আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা-২০ তমিজউদ্দিন, সাতক্ষীরা-২ মোহাম্মদ আফসার আলী, কিশোরগঞ্জ-২ মো. আখতারুজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ মো. তৈয়ব আলী, মাদারীপুর-৩ মো. আব্দুল খালেক, দিনাজপুর-২ মোকাররম হোসেন, ঝিনাইদহ-২ অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট আব্দুল মজিদ, ঢাকা-১ খন্দকার আবু আশফাক, দিনাজপুর-৩ সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর-৪ ফরিদুল কবির তালুকদার, পটুয়াখালী-৩ মো. শাহজাহান, পটুয়াখালী-১ মো. সুমন সন্যামত, দিনাজপুর-১ পারভেজ হোসেন, মাদারীপুর-১ জহিরুল ইসলাম মিন্টু, সিলেট-৩ কাইয়ুম চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-৩ এসএম খলিলুর রহমান ও জয়পুরহাট-১ আসনে মো. ফজলুর রহমান, পাবনা-৩ হাসাদুল ইসলাম, ফেনী-১ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. মিজানুল হক, ময়মনসিংহ-৪ আবু সাঈদ মহিউদ্দিন, নেত্রকোনা-১ মো. রুবেল ইসলাম, পঞ্চগড়-১ তৌহিদুল ইসলাম, ময়মনসিংহ-২ এনামুল হক খান, মানিকগঞ্জ-২ আরিফুর রহমান খান, খুলনা-২ এস এম এরশাদুজ্জামান, নটোর-১ নীরেন্দ্রনাথ সাহা, সিরাজগঞ্জ-৩ আইনাল হক, ঢাকা-১ আইয়ুব খান, বগুড়া-৩ আব্দুল মুহিত, গাজীপুর-২ মাহবুব আলম, বগুড়া-৬, একেএম মাহাবুবুর রহমান, রাঙ্গামাটি অমর কুমার দে, গাজীপুর-২ মো. জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ জেসমিন নুর বেবী, রংপুর-৪ মোস্তফা সেলিম, খুলনা-৬ এস এম শফিকুল আলম, বগুড়া-৪ মো. আশরাফুল হোসেন (হিরু আলম) হবিগঞ্জ-২ মো. জাকির হোসেন, হবিগঞ্জ-১ জোবাইর আহম্মেদ, ঢাকা-১৪ সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সাতক্ষীরা-১ মুজিবুর রহমান, ময়মনসিংহ-৭ জয়নাল আবেদীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আব্দুল্লাহ আল হেলাল, ময়মনসিংহ-২ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, শেরপুর-২ একেএম মোখলেছুর রহমান, হবিগঞ্জ-৪ মাওলানা মো. সোলাইমান খান, নাটোর-৪ আলাউদ্দিন মৃধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ মো. বশির উল্লাহ, নওগাঁ-৪ মো. আফজাল হোসেন, কুড়িগ্রাম-৪ ইউনুস আলী, বরিশাল-২ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-৫ সেলিম ভুঁইয়া, ঝিনাইদহ-৩ কামরুজ্জামান, মৌলভীবাজার-২ মহিবুল কাদির চৌধুরী, কুমিল্লা-৩ কেএম মুজিবুল হক, মানিকগঞ্জ-১ তোজাম্মেল হক, সিলেট-৫ ফয়েজুল মনির চৌধুরী, ময়মনসিংহ-৩ আহম্মেদ তাইবুর রহমান, চট্টগ্রাম-৫ মীর নাছির উদ্দিন, ঝিনাইদহ-৪ আব্দুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ সৈয়দ আহম্মদ লিটন, ফেনী-৩ হাসান আহম্মদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মামুনুর রশিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আবু আসিফ আহম্মদ, ঢাকা-১৪ জাকির হোসেন, ময়মনসিংহ-১০ হাবিবুল্লাহ বেলালী, পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, জামালপুর-৪ মামুনুর রশিদ, মানিকগঞ্জ-৩ আতাউর রহমান আতা, ময়মনসিংহ-৮ এম এ বাশার, ঢাকা-১৪ আবু বক্কর সিদ্দিক, বগুড়া-২ আবুল কাশেম, নেত্রকোনা-১ শাহ কুতুব উদ্দিন তালুকদার, কুড়িগ্রাম-৩ আব্দুল খালেক ও কুড়িগ্রাম-৪ মাহাফুজ রহমান।

জানা গেছে, এক শতাংশ ভোটার না থাকা, লাভজনক পদে থাকা, হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা, ঋণখেলাপি ও দণ্ডপ্রাপ্তসহ বিভিন্ন কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আপিল জমা করে ইসি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গোলাম মওলা রনি বলেন, সামান্য ভুলের কারণে বাতিল হয়েছে। এটি বাতিলের মতো ভুল ছিল না, যেখানে ইসি থেকে ছোট ভুলের জন্য বাতিল না করার নির্দেশনা দিয়েছে। ফলে আমি আশাবাদী। কমিশনের প্রতি আস্থা আছে। আশা করি, আমি নির্বাচন করার সুযোগ পাবো।

এদিকে আপিল করতে ইসিতে এসে বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বলেছেন ভিন্ন কথা। মনোনয়নপত্রে কোনো ভুল না থাকার পরও ষড়যন্ত্র করে তাকে থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘জিরো থেকে হিরো হয়েছি। ষড়যন্ত্র করে আমাকে থামানোর চেষ্টা চলছে। এমপি-মন্ত্রীরা চায় না প্রজারাও রাজা হোক। ভোটযুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাবো। কমিশনে আপিল করেছি, আশা করছি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবো। আপিলকারী মীর নাছির উদ্দীন আহমদ অভিযোগ তুলেছেন সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সরকারের চাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে, আপিল না করলেও এ বিষয়ে তথ্য নিতে সোমবার কমিশনে এসেছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যে অজুহাতে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাতে মনে হয় না কারও মনোনয়নপত্র টিকবে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন, তাদের সবার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বিভিন্ন অজুহাতে।

এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, যেসব মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হয়েছে, সেসব প্রার্থীরা তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেতে ৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশনে আপিলের সুযোগ পাবেন। ৬, ৭, ৮ই ডিসেম্বর আপিল শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে কমিশন। আগামী ৯ই ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ৩০শে ডিসেম্বর ভোট হবে।

ছয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন চেয়েছে ইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ার অভিযোগে ছয় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা হলেন-ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, রংপুর, সাতক্ষীরা ও টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি)। তারা সকলেই এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা। পৃথক সাতজনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইসি তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছে। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মোহাম্মদ কাজী জাহাঙ্গীর। তার অভিযোগ, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন গত ২৮শে নভেম্বর বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলেও তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়নি। বিষয়টি জানিয়ে প্র্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বরাবর আবেদন জানান তিনি। ঢাকা-১৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বিহারীদের নেতা সাদাকাত হোসেন ফাক্কু অভিযোগ করেন, মনোনয়ন জমার শেষ দিনে বিকাল সাড়ে চারটার মধ্যে তার সমর্থন ও প্রস্তাবকারী সেগুনবাগিচার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যান। পরে ফাইল এলোমেলো থাকায় ঢাকা-১৬ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ফাইল গুছিয়ে আনতে বলেন। ইতিমধ্যে ওই কর্মকর্তা অপর এক প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। ইতিমধ্যে ফাইল জমা দিতে গেলে ওই কর্মকর্তা জানান, সময় শেষ। তিনি ঢাকার রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি নিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু রিটার্নিং অফিসারের কক্ষে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। রংপুর-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী ইসিতে দাখিল করা লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২৮শে নভেম্বর দুপুর ২টার দিকে তার নিয়োজিত আইনজীবী, প্রস্তাবক, সমর্থকসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে যান। কিন্তু রিটার্নিং অফিসার মনোনয়ন গ্রহণ না করে পুলিশ দ্বারা তার লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় ওই প্রার্থীরা ইসির হস্তক্ষেপ চান। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে ইসি। এর মধ্যে রংপুর-৫ আসনের বিএনপির প্রার্থী গোলাম রব্বানীর মনোনয়ন জমা দিতে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.