৪ টাকা হাতে দিয়ে নোয়াখালী সূবর্নচর ১১ বছরের বাগপ্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষন!

মুজিব বর্ষের ক্ষণ গণনা এবং নোয়াখালীতে এবার বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশের মাটি এখন ধর্ষিতাদের চিৎকার শুনতে শুনতে ক্লান্ত সোনার বাংলার ।
আমরা মুজিব বর্ষ চাই না, দেশের উন্নয়ন চাইনা, পদ্মা সেতুও চাই না, মেট্রোরেল এর কাজটাও না হলে চলবে। তবে আমরা চাই ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ।
গতকাল ২৮/০১/২০২০ নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরহাসান ভুইয়ার হাটের ০১ নং চরজব্বর ইউনিয়ন ওয়ার্ড নং ০২। খনকার বাড়ির জসিম উদ্দিন ও মমতাজ বেগম দম্পতির ১১ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী কন্যা সামিয়াকে তারই আপন চাচাতো ভাই রাকিব ( মহসিন মেস্ত্রির ছেলে) ধর্ষণ করে। স্থানীয় সূত্রে মোতাবেক জানা যায় সকাল ০৭ টার সময় সামিয়া মক্তবে যাবার সময় তাকে ৪ টাকা দিয়ে (২১) বছর বয়সের রাকিব নামক ধর্ষকটা তার বসত ঘরে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে,৭ টা ৩০ এর দিকে শিশুটি কান্না করতে করতে বের হয়ে আসে রাকিব এর বসত ঘর থেকে কান্নার শব্দ শুনে শিশুটির মা গিয়ে শিশুটিকে দেখতে পায় পরা রক্তাক্ত সেলোয়ার। শিশুটির ইশারায় চিহ্নিত হয় ধর্ষক রাকিব। পরে স্থানীয় লোক জন তাকে ডাক্তারের কাছে নিলে তাকে নোয়াখালী সদর হসপিটাল এ নিয়ে যেতে বলে। হসপিটাল যাওয়ার আগে নোয়াখালীর এই ঘটনায় চরজব্বর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে আসার পরে, নোয়াখালী ব্লাড হান্টারের সেচ্ছাসেবক দের উপস্থিত এবং সহযোগিতায় রাত ১০টায় স্বেচ্ছাসেবি আরিফ আহমেদ মেয়েটির অপারেশনের জন্য “ও” পজেটিভ রক্তদান করেন। পরবর্তীতে রাত (১১:৩০-১২:৩০) টা মেয়েটির অপারেশন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সেখানে আব্দুল রাজ্জাক রাসেল উপস্থিত থাকেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেয়েটি এখন মোটামুটি সুস্থ,আমরা মেয়েটির সুস্থতা কামনা করছি, এবং ধর্ষক নামক পশুটার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি, এমন শাস্তি কামনা করি যে শাস্তি দেখে আর কোন নরপশু ধর্ষণ করার সাহস না পায়।

*তবে পরিশেষে একটা কথা মুক্তিযুদ্ধে ২ লক্ষ মা-বোন ইজ্জত হারিয়েছিলো আর স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন সকল ধর্ষিতা মেয়ের বাবার নাম হবে শেখ মুজিবুর রহমান আর ঠিকানা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর।

* মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কথা অনুযায়ী সকল ধর্ষিতা আপনার বোন, আর আপনার বোনেরা প্রতিনিয়ত ধর্ষণ হচ্ছে আপনি এর সঠিক বিচার করুন। ধর্ষক দের দ্রুত আইনে বিচার করুন এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করুন। ধর্ষিতার দের জন্য সরকারিভাবে আইনি লড়াইয়ের সুযোগ করে দেন।
তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে আর আপনি হবেন তার সুযোগ্য কন্যা এবং আমাদের গর্ব।

অবশেষে বলতে চাই ধর্ষণ মুক্ত বাংলাদেশ চাই। ধর্ষকের শাস্তি চাই।