৩০ বছর ধরে চলাচলের রাস্তা নেই ; বন্দবস্ত হলেও বাঁধার মুখে নির্মাণ কাজ
বর্ষা এলেই নৌকা যাদের একমাত্র ভরসা, হাটুপানিতে দূর্ভোগ আর ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন। কাঁচাপাকা কোন রাস্তাই নেই তাদের।
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের সাধুরখিল বড় মুন্সী বাড়ীর বাসিন্দা হাফেজ হোসেন আহমেদ, মাওলানা নুর নবী ও মাওলানা শফিক উল্যাহ্ প্রায় ৩০ বছর আগে বিলের মাঝখানে বসতবাড়ি তৈরি করেন৷ এরপর থেকে নিজেদের একটি রাস্তার জন্য বলা যায় রীতিমত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এই দুই পরিবার।
জনপ্রতিনিধির বারান্দা থেকে শুরু করে সরকারি দপ্তরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সাম্প্রতিক সরকারিভাবে একটি রাস্তা নির্মাণের বন্দবস্ত হলেও মোহাম্মদ কামাল হোসেন নামক স্থানীয় এক ব্যক্তির বাঁধার মুখে আটকে আছে নির্মাণ কাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- রাস্তাটির নির্মাণ কাজ ৯০ভাগ সম্পন্ন হলেও সামন্য একটু জায়গার জন্য আলোর মুখ দেখছে না রাস্তাটি।
অথচ কামাল হোসেন একটু মানবিক আচরণ করলেই দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটে দুই পরিবারের সদস্যদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কামাল হোসেনের জমিনের সাথে তৎকালীন হালটের একাংশ মিলিত হয়। কিন্তু নকশায় সেই অংশ না থাকার কারনে অনেকটা কৌশলে করে নিজের জমির সাথে যোগ করে হালটের সেই অংশ নিজের বলে দাবী করছে সে। স্থানীয়দের দাবী- কামাল হোসেন তার কাগজপত্র মতে নিজের নির্ধারিত সম্পদ পরিমাপ করে বাকিটা ছেড়ে দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, অথচ তিনি সেটা না করেই অতিরিক্ত দখল করে রাখছেন।
তবে ঠিক কেন তিনি একটি রাস্তা নির্মাণে মানবিক হচ্ছেন না? বা নিজের সম্পদের বাহিরে অতিরিক্ত অংশ নিজের বলে দাবী করছেন? এ ব্যাপারে কামাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে সমাজকর্মীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে হাইকোর্টের ভূমি সংক্রান্ত বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন- এটি অত্যন্ত অমানবিক, একটি গর্হিত কাজ। যেখানে রাস্তা তৈরিতে সহযোগিতা করার কথা সেখানে বাঁধা প্রধান অনভিপ্রেত। কারো চলার পথে বাঁধা সৃষ্টি করা রাষ্ট্রীয় আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
জনাব, কামাল হোসেন কোনভাবেই নিজের দলিলের বাহিরে ভূমির অতিরিক্ত অংশের মালিক নন। অতিরিক্ত অংশের মালিক রাষ্ট্র বা সরকার। যেহেতু তার ভূমির পাশেই ছিলো তাই তিনি সেটা ভোগ করতে পারেন কিন্তু নিজের দাবী করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেন না৷ সরকার বা সংশ্লিষ্টরা উপযুক্ত মনে করেছেন বলেই রাস্তাটার অনুমতি দিয়েছেন এখন তার উচিৎ নিজের ভূমি পরিমাপ করে বাকি অংশের দখল ছেড়ে দেওয়া। না হলে তিনি আদালতে অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন। চাইলে সামাজিকভাবেই এটি সহজে সমাধান করা সম্ভব।
Comments are closed.