হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে বেগমগঞ্জে হোসাফ পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ

জনমনে ক্ষোভ-উত্তেজনা

157

নোয়খালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার মির আলীপুর ও মীরওয়ারিশপুরে হোসাফ ১১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র শত শত আবাসিক এলাকায় স্থাপন ও ভূমি অধিগ্রহন নীতিমালা অমান্য করে, ক্ষতিপূরনের টাকা থেকে ভূমি মালিকদের বঞ্চিত করার দায়ে হাইকোর্টের পিটিশন ১৪২১৭ নং মামলা রুজু করা হইয়াছে।

জানা গেছে, হোসাফ গ্রুপ আপানিয়ার নিকটে আবাসিক এলাকায় ১১৩ মেগাওয়াট পাওয়ার প্লান্ট নির্মান করেন। পরে চৌমুহনী বিদ্যুৎ বিক্রয় ও সরবরাহ কেন্দ্রে সংযোগ স্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ খুটি ও লাইন সম্প্রসারন কার্যক্রম শুরু করেন। স্থানীয় ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরন টাকা পরিশোধ না করে পিলার স্থাপন ও লাইনের কাজ শুরু করে। এতে ভুক্তভূগীরা ক্ষতিপূরনের টাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট গেলে প্রকল্প ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম গং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় সন্ত্রাসীদের দিয়ে ভূমি মালিকদের উপর একাধিক বার হামলা চালিয়ে কমপক্ষে নারী সহ ১০/১২ জনকে আহত করে।বিদ্যুৎ পিলার ও তার স্থাপন এর জন্য বিদ্যুৎ আইন ২০১৮ এর ১৪ ধারা অনুযায়ী ভূমির অধিগ্রহনের ১২ ধারা অনুসারে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেনি হোসাফ কর্তৃপক্ষ।ভূমির প্রকৃত মালিকরা একাধিকবার নির্যাতন নিপিড়নের শিকার হয়ে ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন আলো মহসিন বাদী হয়ে জেলা জজ কোর্টে পৃথক পৃথক দুইটি মামলা রুজু করে। ২ নং পিলার থেকে ১৩ নং পিলার পযর্ন্ত যে উচ্চতায় লাইন ও তার স্থাপন করা হয়েছে। এতে করে উক্ত লাইনের আশপাশের কোন বসতির অবকাঠামো নির্মান করা সম্ভব হবে না। কিংবা গাছপালা লাগানো বা ফসল উৎপাদন করা ঝুঁকিপূর্ন। ১১৩ মেগাওয়াট পাওয়ারে তারের সামনে কোন কিছু করা সম্ভব নয়। সূত্র মতে ক্ষতি পূরনে কোটি কোটি টাকা কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভাগাভাগি করলে ও প্রকৃত ভূমি মালিক গণ ক্ষতিপূরন টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ২৫ নভেম্বর ১৯ ইং তারিখে ভক্তভূগিরা এ নিয়ে জেলা প্রশাসক নোয়াখালী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ পৃথক পৃথক ভাবে অভিযোগ দিয়েছে। হাইকোট ডিভিশনের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ এনায়েতুর রহিম ও বিচারক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের ব্যাঞ্চ রুল জারি করেন। এবং কার্যক্রমের উপর স্থগিতা দেশ দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে সিনিয়র সচীব পাওয়ার ডিভিশন জ্বালানি মন্ত্রণালয়, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটারী কমিশন কাওরান বাজার ঢাকা, জেলা প্রশাসক নোয়াখালী, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ওয়াপদা মতিঝিল ঢাকা, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড নোয়াখালী, নির্বাহী অফিসার বেগমগঞ্জ নোয়াখালী, ম্যানেজার হোসাফ ইলেকট্রিসিটি পাওয়ারপ্লান্ট সেন্টার বেগমগঞ্জ নোয়াখালী কে জবাব দেওয়া নির্দেশ দেন । ১২ ডিম্বের ২০১৯ ইং এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষতিপূরন থেকে বঞ্চিত পরিবার সদস্য ও বাদী কে প্রানে হত্যা করার হুমকি প্রধান করছে বলে জানা যায়। স্বরজমিন অনুসন্ধানে গেলে নাম প্রকাশ না করা শ^র্তে এলাকাবাসী জানান রহস্য জনক কারনে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এলাকায় ১/২ কিলো সীমানার প্রায় ১৫০০ বসত বাড়ী থাকলে ও দুর্নিতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সরকার দলীয় প্রভাবশালীদের ব্যবহার করে হোসাফের ম্যানেজার অনিয়ম করে দুর্নিতির আশ্রয়ে ক্ষতিপূরনের অর্থ প্রাপ্তি হতে ভূমি মালিকদের বঞ্চিত করার অভিযোগ। লাইন নির্মানের কেন্দ্র বিন্দু থেকে উভয় পাশে ১৫ ফুট করে মোট ভূমির পরিমান নির্ধারন করার পর ক্ষতি পূরনের টাকা প্রদান করার বিধান রয়েছে। কিছু কিছু ব্যাক্তিকে যত সামান্য টাকা প্রদান পূর্বক কাগজে মুছলেখা নিয়েছে প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের দিয়ে। ১৮ ডিসেম্বর ৩.৩৫ ঘটিকায় এ বিষয়ে জহিরুল ইসলাম ম্যানেজার থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন ক্ষতি পূরনের টাকা দেওয়া হয়েছে। মোট কত টাকা প্রদান করা হয়েছে তা জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন হেড অফিসে যান। আমি বলতে পারছিনা। ক্ষতিপূরনের টাকা না দিয়ে হোসাফের কর্মকর্তারা স্থানীয় দালাল চক্র দিয়ে পাশ^বর্তী সড়কের ভূমির অজুহাত করে প্রকৃত মালিকদেরকে তাদের প্রকৃত প্রাপ্য হতে বঞ্চিত করে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে যারা কিছু যত সামান্য টাকা পয়শা নিয়েছে তাদের থেকে জোর পূর্বক মুছলেখা ও আদায় করার অভিযোগ। অপরদিকে মিরওয়ারিশপুরের মজুমদারবাড়ী, মুন্সি বাড়ী, ইঞ্জিনিয়ার কাশেমের বাড়ী, চাপরাশি বাড়ী , নুরুজ্জামানের বাড়ী, মহাজন বাড়ী, রহিম মাষ্টারের শত শত নারী পুুরুষ অভিযোগ করে বলেন স্থানীয় ভাবে দালাল চক্র দিয়ে হোসাফ মিটার কারখানা স্থাপনের নামে জমি ক্রয় করে ছিলো। কিন্তু এখন দেখা যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম করছে। প্রায় ১০০০ ডিং ভূমি ক্রয় করেছে বলে জানা গেছে। হাইকোর্ট ডিভিশনকার্যক্রমরে উপর স্থগিতাদেশ থাকলে ও তারা আদালতের নির্দেষনা অমান্য করে ২২ শে ডিসেম্বর থেকে প্রথমিক ভাবে পরীক্ষা মূলক ভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় কারখানার বিকট শব্দে ৩/৪ কিলোর মধ্যে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে এর বজ্য তেল ৭/৮ কিলোর মধ্যে একলাশপুর পর্যন্ত বিভিন্ন গাছপালা দালান কোঠায় পুকুর ডোবায় ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার জি কে শামীমের চেয়ে ও বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে। তদন্ত করা হলে থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে বলে ধারনা করছে ভোক্তভোগীগন। নোয়াখালীতে উন্নয়ন কাজের অধিকাংশ ক্ষেত্রে জোর জার রাজ্য তার ওমনটিই ঘটেছে। প্রশাসনের নিরবতার কারনে সাংবাদিক গন প্রতিবেদন প্রকাশ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। হাইকোট মামলার বিষয়টি নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর রোজ সোমবার ১২ ঘটিকার সময় বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান অফিসিয়াল ভাবে কোন নির্দেশনর কাগজ পত্র পাইনি। যখন পাবো তখন দেখবো। বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, সেনবাগের পশ্চিম এলাকা, চাটখিলের দক্ষিন এলাকায় এই কেন্দ্র যদি টানা ৩/৪ মাস চালু থাকে তাহলে বসতবাড়ীতে, পুকুরে, গাছপালার উপর, বজ্য তেল গুলো ছড়িয়ে পড়ার কারনে পরিবেশে মারাত্নক ভাবে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। একসময় বসবাসের অন-উপযোগী হয়ে পড়বে বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী, সেনবাগের পশ্চিম এলাকা, চাটখিলের দক্ষিন এলাকা। কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার এর চারদিকে যান্ত্রিক বিকট শব্দ দূষণ দেখা যায়। এই বিষয়ে জরুরী ভিত্তিতে এলাকা বাসী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে বাতাসে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে লামচর গ্রামের সর্দার বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায় তারা।

চাটখিলে বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

বেলায়েত হোসেন আশা করেন দলীয় নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় সর্বসাধারনের ভালোবাসায় তিনি বিপুল ভোটে চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।

চাটখিলে সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বেলায়েত এর মতবিনিময়

নোয়াখালীর চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে চাটখিল উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে চাটখিল কামিল মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি সাংবাদিক মেহেদী হাছান রুবেল ভুঁইয়া’র পৃষ্ঠপোষকতায় ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

তিনি দেশবাসীকে মাতৃভাষায় বুঝে বুঝে কুরআন পাঠের আহ্বান জানান।

সারাদেশে অর্থসহ কুরআন পাঠ দিবস পালিত

Comments are closed.