শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারে পালিয়ে বেড়াচ্ছে দুসন্তানসহ গৃহবধূ
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের প্রবাসী শফিকুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন শাশুড়ি দেবর ননদ ও ঝা কর্তৃক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ওই গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন মামলা করেও রক্ষা পায়নি অত্যাচারীদের হাত থেকে, অবশেষে বাঁচার আকুতি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বৃহস্পতিবার ফেনীর একটি রেস্টুরেন্টে।
ফেনী সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্ৰামের মৃত মোস্তফার ছেলে শফিকুর রহমানের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রাবেয়া খাতুনের। বিয়ের পর থেকে সংসার খুব সুন্দরভাবেই চলছিল, বাপের বড় সন্তান স্বামী শফিকুর রহমান এলাকায় কাজকর্ম করে কিছু টাকা উপার্জন করে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার লক্ষ্যে বিদেশ গিয়েছে। সেখানে শফিক মোটামুটি ভালো টাকা আয় রোজগার করে তার তিন ভাইকে কুয়েত নেয়। এরপর বাড়ির পাশে ৩০ শতক জমি ক্রয় করে উক্ত জায়গায় তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একটা ছাদপেটা বড় ঘর নির্মাণ করে। এরপর রাবেয়া খাতুনের স্বামী বিদেশ চলে গেলে তার শাশুড়ি ননদ ওরা তাকে চাপ প্রয়োগ করে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বিধায় তাকে ছোট্ট অংশে একটি রুমে থাকার জন্য। এদিকে রাবেয়া খাতুনের দুই শিশুসন্তান নিয়ে বিপাকে পড়ে এরপর তাকে ঘর থেকে বাহির করতে না পারায় অবশেষে তার তরকারিতে বিষ দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালিয়ে ও ব্যর্থ হলে সবাই মিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এক পর্যায়ে নির্যাতনরত অবস্থায় এলাকার লোকজন গিয়ে সেখান থেকে এই গৃহবধূকে রক্ষা করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সে অন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়।
এ ব্যাপারে আসামিপক্ষকে মামলায় গ্রেপ্তার করলেও পরবর্তীতে তারা জামিনে গিয়ে এখন পুনরায় তাকে মারধর করবে এবং নির্যাতন করবে এমন হুমকি দিলে গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন তার এই দুই শিশু সন্তান নিয়ে জানের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় তার জানের নিরাপত্তায় ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য সে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Comments are closed.