লক্ষ্মীপুরে তীব্র শীতে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল নিয়ে ইউএনও
প্রচন্ড- শীত, তীব্র শীতের পাশাপাশি কনকনে বাতাসে জবুথবু সারাদেশের মতো রামগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষ।
অসহায় মানুষদের কাছে শীতের এমন বৈরি পরিবেশ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হিসাবে দেখা দিয়েছে। শীতের এমন রূপ ধনী মানুষদের কষ্টের কারন না হলেও গরীব অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হিসাবে দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে গত কয়েকদিনের অব্যাহত শীতে মানুষসহ প্রানীকূলে চরম দূর্ভোগ দেখা দিয়েছে। এদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শনিবার রাত ৮টায় সরকারীভাবে দেয়া শতাধীক কম্বল নিয়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে হটাৎ উপস্থিত রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান। ছিন্নমূল মানুষজন যখন তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান তাদের মাঝে কম্বল তুলে দেয়ার জন্য পৌঁছেন দ্বারে দ্বারে। তীব্র শীতে হটাৎ কম্বল নিয়ে ছিন্নমূল মানুষদের কাছে যাওয়া হতবাক হয়ে পড়েন সবাই। কম্বল পেয়ে অনেক মা-বোনেরা নির্বাহী অফিসারকে আলিঙ্গন করে নেন।
রামগঞ্জ বাইপাস সড়ক, ওয়াপদা বেড়িবাঁধ, রামগঞ্জ মডেল কলেজ রোড, সোনাপুর চৌরাস্তা ও রামগঞ্জ মোরগহাঁটা সড়কের আশেপাশে বসবাসকারীদের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাসুদ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার প্রকৌশলী মোঃ জুয়েল রানা ও উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা আল ইমরান প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনতাসির জাহান জানান, গত কয়েকদিনের শীতে সাধারণ মানুষের কষ্টের কথা আমি জেনেছি। আমরা নিজেরাই কষ্ট পাচ্ছি, আর সাধারণ মানুষের তো অবস্থা আরো শোচনীয়। আমার বড় ছেলে রুবাইয়াত সাজ্জাদ চৌধুরী কাইফকে নিয়ে বের হয়েছি মূলত ছিন্নমূল মানুষদের কষ্ট দেখার জন্য। শীতের এ তীব্র পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে দিনযাপন করি, আর সাধারণ মানুষ কতটা কষ্টে শীতসহ নানান প্রতিকূল পরিবেশ টিকে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। আমার ছেলেও নিজ হাতে অনেকের মাঝে কম্বল বিতরন করেছে। আমরা পর্যায়ক্রমে উপজেলার সাধারণ মানুষজনের হাতে আরো কম্বল তুলে দিবো।
Comments are closed.