রায়পুরে জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল! যাত্রী দূর্ভোগ চরমে

91
  রায়পুরে দূরের যাত্রীরা যেন নিদিষ্ট স্থান থেকে উঠা-নামার জন্য যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ হলেও এখন কোন কাজে আসছেনা । জেলা পরিষদ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ স্থানে ৪টি যাত্রী ছাউনী নির্মাণ করেন। এখন যাত্রীছাউনীগুলো স্থানীয় দোকানদার ও মাদক সেবীদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ গেলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।যাত্রী ছাউনীগুলো হলো- রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে রায়পুর বাসটার্মিনাল এলাকায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দ্বিতলা ভবন, বাসবাড়ি বাজার এলাকায় প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ও রাখালিয়া অটো রিক্সাটার্মিনাল প্রায় ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।
কয়েকজন চালক ও যাত্রীরা জানান, রায়পুরে ১০টি বাস কাউন্টার রয়েছে। প্রায় ৫ হাজার যাত্রী এ কাউন্টারগুলো থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। সরকার প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে জনসাধারনের সুবিধার্থে তিন জায়গায় তিনটি যাত্রীছাউনী নির্মান করেছেন।কিন্তু বখাটে আর মাদকসেবী ও স্থানীয় দোকানদারদের কারনে যাত্রীরা যাত্রীছাউনীতে না দাঁড়িয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে থেকে গাড়ি উঠা-নামা করে।
প্রায় ৭-৮ বছর আগে ৮-৯ লাখ টাকা ব্যয়ে রাখালিয়া ও বাসাবাড়ি বাজারে ২টি যাত্রী ছাউনি নির্মান করেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ। এর পাশাপাশি তারা অধিক লাভের জন্য স্থানীয়দের কাছ থেকে দোকান দেওয়া বাবদ ১ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার অভিযোগ দিলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না ।মাইনুদ্দিন নামে একজন বাস চালক জানান, যাত্রীদেরকে রাস্তার পাশ থেকে গাড়িতে উঠাতে হয়। যে কারনে যাত্রী ছাউনী করা হয়েছে সেটি কোন কাজেই আসে না। একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বললেও তারা কোন কথা শুনে না।এ ব্যাপারে রায়পুর বাস টার্মিনাল, রাখালিয়া ও বাসাবাড়ি বাজারের যাত্রীছাউনীগুলোর দখলকৃত দোকানদারগন কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।জেলার রায়পুর উপজেলার বর্ডার বাজারসহ একাধিক নির্মিত যাত্রী ছাউনিগুলো দীর্ঘদিন থেকে অযত্ন আর অবহেলায় স্থানীয় দখলদারদের দখলে রয়েছে। বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনিগুলো এভাবে অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণের কারণে যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত তিন কক্ষের এসব যাত্রী ছাউনির। যাত্রী ছাউনিতে স্টেশনারী ও পানীয় দোকান দেয়ার জন্য ১২০ বর্গফুটের দোকান বরাদ্দ হলেও কোন নিয়মই মানছেন না দোকান ইজারাদাররা। এছাড়া জেলা পরিষদে দোকান ভাড়ার টাকা পরিশোধে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ।
লক্ষ্মীপুর সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা এর সভাপতি ভাষ্কর বসু রায় চৌধুরী জানান, কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এসব যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছে জেলা পরিষদ। যেখানে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে, সেখানে না করে যত্রতত্র পছন্দের লোকজনকে দিয়ে এসব ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। এগুলোর বরাদ্দ ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায়ও অনিয়ম রয়েছে। পরিবহন চালকরা জানায়, যাত্রী ছাউনি নির্মাণ যাত্রীদের কল্যাণের জন্য। বৃষ্টি বা অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা পেতেই মূলত যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করা। কিন্তু দেখা গেছে, জেলা পরিষদ যেসব যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করেছে, সেগুলো যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না। কারণ একটি যাত্রী ছাউনিও পরিকল্পিতভাবে নির্মাণ হয়নি।
অপরিকল্পিত স্থানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের কথা স্বীকার করে জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আইয়ুব আলী জানান, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সমন্বয়ে যাত্রী ছাউনিগুলো নির্মাণ করা হলেও স্থান নির্বাচন সঠিক হয়নি বলে তিনি মনে করেন। টেন্ডারের মাধ্যমে দোকান ঘর বরাদ্দ পেলেও দোকানিরা প্রভাব বিস্তার করে ভাড়া দিতে চায় না। কয়েকবার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাত্রী ছাউনি নির্মাণে স্থান নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা হবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, জেলা পরিষদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, জেলা পরিষদের আওতাধীন মোট ২৬টি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬টি, রায়পুর উপজেলায় ৪টি, রামগঞ্জ উপজেলায় ৭টি, কমলনগর উপজেলায় ৪টি ও রামগতি উপজেলায় ৬টি যাত্রী ছাউনি  রয়েছে।
আরও পড়ুন

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন সহকারী প্রোগ্রামার,ইউআইটিআরসিই, ব্যানবেইস মো.জহির উদ্দিন।

নারায়নপুর আর কে উচ্চবিদ্যালয়ের কমিটি গঠন,আবু তালেব সদস্য নির্বাচিত

এ সময় বক্তারা আদালতের রায় ও ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র বাংলা ভাষায় লিপিবদ্ধ করার জন্য জোরালো দাবি জানান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

অল্পদিনের মধ্যেই এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম ও চাঁদাবাজ আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।

নিজ এলাকায় জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এইচ এম ইব্রাহিম এমপি

মফস্বলে সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

মফস্বল সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ – এইচ এম ইব্রাহিম

Comments are closed.