রায়পুরের পান সুখ্যাতি ছড়াচ্ছে দেশে-বিদেশে

সরকারি সহযোগিতা পেলে বাজার বৃদ্ধি পাবে বহুগুণ

497

লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার চরাঞ্চলে পানের বাম্পার ফলনে এবং দাম বেশি পাওয়ায় মুখে হাসি ফুটছে পান সংশ্লিষ্ট কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
রায়পুর উপজেলায় বছরে পান বিক্রি হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকার । এ পান জেলার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখানীসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। পানের মান এবং চাহিদা থাকায় বিদেশে সুখ্যাতি ছড়াচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী জানান, পান নিয়ে আমাদের নানা সমস্যার মোকাবেলা করতে হলেও কৃষি বিভাগের কোন কর্মকর্তার মুখ আমরা দেখিনা। তাঁরা আমাদের সঠিক পরামর্শ দিলে পান চাষ এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য বদল করে দিতে পারে।
দীর্ঘদিন যাবৎ পান ব্যবসার সাথে জড়িত সোলাখালী ব্রীজ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জাব্বার জানান, রায়পুর থেকে অনেক প্রতিষ্ঠিত পান ব্যবসায়ী পান সংগ্রহ করেন। এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পান চাষ খুলে দিতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার। প্রতি শনি ও বুধবার লক্ষ্মীপুরের সবচেয়ে বড় পান বাজার বসে হায়দরগঞ্জ এলাকায়। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ব্যবসায়ীরা আগের রাত থেকে হায়দরগঞ্জ বাজারে আসেন। এছাড়াও রায়পুর পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকায় প্রতি শুক্র ও সোমবার পানের বাজার বসে। বাজারের দিন ব্যবসায়ীরা চাহিদামত পান সংগ্রহ করার পর সড়কপথে পিকআপযোগে তাদের গন্তব্যে নিয়ে যান।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরে ৩০৫ হেক্টর জমিতে ১৬’শ ২০ বরজে পান চাষ হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয় প্রায় ৮ হাজার পান, উৎপাদন খরচ হয় প্রায় আড়াই লাখ টাকা। বর্তমান বাজারে ভালো মানের প্রতি বিড়া (৭২ পিস) পান বিক্রি হয় ১৫০ টাকা। এ হিসেবে রায়পুরে ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকার পান উৎপাদন হয়। তবে বেসরকারি হিসেবে পানের উৎপাদন হয় প্রায় ৫০ কোটি টাকার। উপজেলার উত্তর চর আবাবিল, দক্ষিণ চর আবাবিল, উত্তর চরবংশী ও দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নে পানের আবাদ বেশী হয়। ‘পানপল্লী খ্যাত ক্যাম্পের হাট এলাকার পান চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৈশাখ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত পানের উৎপাদন ভালো হয়। এসময় উৎপাদিত পানের সাইজও বড় হয়। অতি শীত, ঘন কুয়াশা ও ক্ষেতে পানি জমে থাকলে পানের বরজ নষ্ট হয়ে যায়। একটি বরজ ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয়। তবে মাঝে মধ্যে সংস্কার করতে হয়। এছাড়াও বর্তমানে সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ার কারণে পানের বরজের আবাদ কমে আসছে। শুস্ক মৌসুমে বৃষ্টি না থাকায় পানি সেচ দিয়েও পান গাছ রক্ষা করা যায় না। হাদারগঞ্জ মিউচুয়াল ট্রাষ্ট এসএমই শাখার ব্যবস্থাপক বলেন,
‘পান চাষের উপর মিউচুয়াল ট্রাস্ট এসএমই হায়দারগঞ্জ শাখায় সাতজন চাষীর মাঝে ২৯ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে। চাষীরা ঋণ নিয়ে পানের বরজ তৈরি করেছে। তাদের দেখা দেখে অন্য প্রান্তিক চাষীরা ঋণ নিয়ে পান চাষ করার পরিকল্পনা বুনছেন ।’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিল্পী রানী রায় বলেন, পান চাষীদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে কৃষি কর্মকর্তার সাথে বসে পরিকল্পনা করবো। পান চাষীদের পাশে সরকার সবসময় আছেন বলেও তিনি জানান।

আরও পড়ুন

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন সহকারী প্রোগ্রামার,ইউআইটিআরসিই, ব্যানবেইস মো.জহির উদ্দিন।

নারায়নপুর আর কে উচ্চবিদ্যালয়ের কমিটি গঠন,আবু তালেব সদস্য নির্বাচিত

এ সময় বক্তারা আদালতের রায় ও ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র বাংলা ভাষায় লিপিবদ্ধ করার জন্য জোরালো দাবি জানান।

চাটখিল কামিল মাদ্রাসায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

অল্পদিনের মধ্যেই এখানকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গতিশীল হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনো অন্যায়, অবিচার, অনিয়ম ও চাঁদাবাজ আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।

নিজ এলাকায় জনগণের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন এইচ এম ইব্রাহিম এমপি

মফস্বলে সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।

মফস্বল সাংবাদিকতা করা একটা চ্যালেঞ্জ – এইচ এম ইব্রাহিম

Comments are closed.