রামগঞ্জে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে ‘গলাকাটা’ ফি আদায়
গরীব অভিভাবকরা বিপাকে
লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়রে অভিযাগ উঠেছে। ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় দুই হাজার পরীক্ষার্থী ও ৩১টি মাদ্রাসা থেকে প্রায় এক হাজার দুইশত পরীক্ষার্থী ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার এবার ফরম পূরণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও কেন্দ্র খরচ বাবদ নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য মানবকি ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১,৮৫০ টাকা, বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর সাথে বিলম্ব হলে আরও ১০০ টাকা যোগ করা হয়েছে। অভিবাবকদের অভিযোগ, রামগঞ্জের প্রত্যেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফরম পূরনের ফি ৪,০০০ টাকা থেকে ৪,৫০০ টাকা ও মাদ্রাসা গুলিতে ২,৫০০থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।
ফরম পূরণের অতিরিক্ত টাকা যোগাড় করতে শ্রমজীবী ও দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ক্ষোভের কথা জানালেও শিক্ষকদের মনে কষ্টদিলে ছাত্র-ছাত্রী ভালো ফলাফল করতে পারবে না ভেবে এবং ঝামেলার ভয়ে তারা নাম প্রকাশ করতে চাচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, বোর্ড ফি, কোচিং ফি, ফরম পূরণ সংক্রান্ত কাজে শিক্ষকদের শিক্ষা বোর্ডে যাতায়াত, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজ, মডেল টেস্ট, অনলাইনে ফরম পূরণের খরচসহ বিবিধ খাতে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ওই অতিরিক্ত টাকা আদায় করে ভাগ-ভাটোয়ারা করে নিচ্ছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ম্যনেজিং কমিটির লোকজন আলোচনা ক্রমে ফি নির্ধারণ করেছেন। এখানে আমার কিছু করার নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমকি শিক্ষা কর্মকর্তা মনজির রশিদ বলনে, স্কুলে-স্কুলে গিয়ে খবর নেওয়া সম্ভব নয়। তারপরও যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসীন জাহান জানান, ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়রে সুযোগ নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed.