যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের মানববন্ধন
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবং সকল আসামিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঘন্টাব্যাপী নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর ওই গৃহবধূর নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী গত সেপ্টেম্বর মাসে নোয়াখালীতে ধর্ষণের ১টি, গণধর্ষণ ১টি, ধর্ষণ চেষ্টা ৩টি, মামার উত্যক্ত সইতে না পেরে আত্মহত্যাসহ আত্মহত্যা-২টি, নারী হত্যা ২টি, নারীর মরদেহ উদ্ধার ২টির মতো উল্লেখযোগ্য নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতনসহ দেশব্যাপি নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে ঘটনার সাথে জড়িত দূর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ও জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে এবং তোফাজ্জল হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এবিএম আবদুল আলিম, মুহাম্মদ আলমগীর, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হারুন, কাউন্সিলর লিলি রহমান, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী আক্তারুল ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির মেহেদী হাসান প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র নির্যাতনসহ দেশব্যাপী নারী-শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এর আগে রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২ দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ পেলে তা ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা নির্যাতিতা গৃহবধূর পরিবারকে কিছু দিন অবরুদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে তার পুরো পরিবারকে বসত বাড়ি ছাড়তে বাধ্য করলে পুরো ঘটনা দীর্ঘদিন স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে থাকে। পরে ঘটনার জানাজানি হলে পুলিশ ও র্যাব কয়েক দফায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামিসহ এ পর্যন্ত ৬ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments are closed.