যুবলীগ নেতাকে টাকার বিনিময়ে অপহরণ ও গুম করার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ি থানার ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
যুবলীগ নেতাকে অপহরণ ও গুম করার প্রতিবাদে সোনামুড়ী থানা ওসির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন
নোয়াখালী চাটখিল খিলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নোমান পাটোয়ারী।
নোমাম পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলন বলেন, আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আমাকে ওসিসহ আরো তিন পুলিশ সদস্য পিস্তল ধরে সিএনজি করে সোনাইমুড়ী থানার দোতালা রুমে আটক করে রাখে। পরে রাতে আমাকে চোখ বেধে সোনাইমুড়ী থানা থেকে হত্যার উদ্দ্যেশে পুলিশের গাড়ীতে করে বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ড ও নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। কিন্তু এলাকা বাসী থানার সামনে অবস্থান করলে পরে পু্লিশ চাটখিল থানায় হস্তান্তর করে।
অপহৃত যুবলীগ নেতার পিতা ইউপি মেম্বার আব্দুর রহিম বলেন, আমার ছেলেকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে তাকে সোনামুড়ী থানার ওসি আব্দুস সামাদ হয়রানি মূলকভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে নোয়াখালী আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সকাল ১১ টায় জামিন থাকা শর্তেও তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্তু রাত পর্যন্ত অপহরন বা আটক করার বিষয়ে ওসি আব্দুস সামাদ অস্বীকার করে। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় চাটখিল থানা থেকে রাত ১ টায় আমরা তাকে উদ্ধার করি।
এদিকে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের অনিল পাল বাবু জানান, সে এলাকার সকলের সাথে মিলে মিশে কাজ করে। তার অপহরণের বিষয়টি শুনে আমারা অবাক হয়ে যাই। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটি একটি উদ্দ্যেশ্য মূলক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা নোমান পাটোয়ারীর পিতা আব্দুর রহিম খোরশেদ মেম্বার, মা নিহার বেগম,স্ত্রী নুসরাত জাহান চৌধুরী,হিন্দু সম্প্রদায়ের অনিল পাল বাবু, অলক বাবু সহ এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য বুধবার সকাল ১১ টায় নোয়াখালী জেলা আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সোনাইমুড়ী থানার ওসি অপহরণ করে হাত ও চোখ বেধে নিয়ে যায় সোনাইমুড়ী থানায়। পরে এলাকাবাসীর ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় তাকে চাটখিল থানা থেকে রাতে উদ্ধার করা হয়।।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি এর আগে ঢাকার এক সাংবাদিক দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির পত্রিকার সম্পাদক কে হয়রানি করার অভিযোগে রয়েছে তার বিরুদ্ধে ।
Comments are closed.